Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

মাগুরা সদর হাসপাতাল

ফিল্ম না থাকায় একমাস ধরে এক্সরে সেবা বন্ধ

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম


ফিল্ম না থাকায় একমাস ধরে এক্সরে সেবা বন্ধ

মাগুরা জেলা সদর হাসপাতালে ফিল্ম না থাকায় ৫টি এক্সরে মেশিন রোগীদের কাজে আসছে না। ফলে মাগুরা সদর হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে কোনো এক্সরের রিপোর্ট দেয়া যাচ্ছে না।

এ হাসপাতালে ৫টি এক্সরে যন্ত্রের ২টি নষ্ট, ৩টি সচল থাকলেও ডিজিটাল ফিল্ম ও রেডিওলজিস্ট না থাকায় প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে না। এর ফলে একমাস ধরে এক্সরে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরের বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হচ্ছে।

বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে কোটেশনে কয়েক লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ টেন্ডারে তত্ত্বাবধায়কের কারসাজিতে ঠিকাদারের সাথে অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে ডিজিটাল এক্সে ফিল্মের পরিবর্তে ম্যানুয়াল ফিল্ম ভর্তি প্যাকেট গ্রহণ করেন যার দাম ডিজিটাল ফিল্মের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের পরে ২০২৫ সাল পার হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থ বরাদ্দ ও দরপত্র নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এক্সরে ফিল্ম ওষুধসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনা সম্ভব হয়নি। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও বাইরে থেকে এক্সরে করতে আসা রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নষ্ট হয়ে থাকা এক্সরে যন্ত্র মেরামতসহ রেডিওলজিস্ট না থাকায় পদের পদায়ন চেয়ে সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নরমাল ম্যানুয়াল ফিল্ম প্রদান করেন যেটা এই মেশিনে গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় এক্সরে বন্ধ আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বোর্ড গঠনের পরে তিনি এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে এক সপ্তাহ পার হলেও এক্সরে ফিল্ম দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

জেলা শহরে আর কোন বড় চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র নেই। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মাগুরা জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের কারণে শহর ও গ্রামবাসী চিকিৎসাসেবা নিতে মাগুরা সদর হাসপাতালেই আগে আসেন।

এক্সরে মেশিনের দায়িত্বে নিয়োজিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) তোফাজ্জেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি ঢাকাতে আছেন।

৩-৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে বেশ কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালে এক্সরে করতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা যায়।

এক্সরে মেশিনের নির্ধারিত কক্ষে দেখা যায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মচারী বসে অলস সময় পার করছেন। ওই কক্ষে ঢুকলেই নজরে পড়ে, ‘এক্সরে ফিল্ম না থাকার কারণে অফ’ ঘোষণাটি একটি সাদা কাগজে লিখে রুমের সঙ্গে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাগুরার সিভিল সার্জন মো. ডা. শামীম কবির বলেন, ‘হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না থাকায় এবং ডিজিটাল এক্সরে ফিল্ম ও মেশিনটি অচল হয়ে পড়ায় আমরা রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছি না। রোগীদের ভোগান্তি দেখতে আর ভালো লাগে না। নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়।’

তবে এ বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে কোন তথ্য দিতে রাজি নন।

তিনি জানান, কোন কিছুই আমার মুখস্ত নেই। এখন দেয়া যাবে না পরে আসেন।

ইএইচ

Link copied!