Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

কুমারখালীতে স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম


কুমারখালীতে স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাথি খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে হত্যা করেছে তার স্বামী।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সাথি খাতুন ওই গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মো. সীমান্ত (৩০) এর স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মনছুর শেখের মেয়ে।

স্বজনদের দাবি, পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় স্বামী সীমান্ত তার স্ত্রী সাথি খাতুনকে রাতভর পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করেছেন। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, প্রায় আট বছর আগে করাতকান্দি গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে সীমান্তের সঙ্গে সাথি খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এই দম্পতির নাহিদ নামের ছয় বছর বয়সী ও আফসানা নামের চার মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে সীমান্ত তার খালাতো বোনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছে।

তারা আরও জানান, প্রায় সাতদিন আগে পরকীয়া প্রেমিকাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সীমান্তকে ৯০ হাজার টাকা দেন শ্বশুর মনছুর। এরপরও রোববার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে দিনভর ঘুরাফেরা করেন সীমান্ত। রাতে সাথি খাতুন তার স্বামীর কাছে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরাঘুরির বিষয়টি জানতে চান। তখন সীমান্ত তার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে হত্যা করে। পরে সাথির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়েছেন।

সাথির বড় ভাই সবুজ বলেন, খালাতো বোনের সঙ্গে সীমান্তের পরকীয়া প্রেম ছিল। একাধিকবার সালিশ হয়েছে এ নিয়ে। গত সপ্তাহে ৯০ হাজার টাকাও দিয়েছি মিটমাটের জন্য। তবুও রোববার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল। সে খবর জানতে গেলে সীমান্ত আমার বোনকে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়েছে। আমি অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। থানায় মামলা করবো।
সীমান্তের বাড়ি গিয়ে স্বজন ও উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। তবে সীমান্তসহ তার বাবা মাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

নিহত সাথীর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস।

তিনি জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ইএইচ

Link copied!