Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫,

আদালতে সিয়ামের জবানবন্দি

আমাকে কোথাও যেতে দিতনা, তাই মাকে মেরে ফেলি

আখাউড়া প্রতিনিধি :

আখাউড়া প্রতিনিধি :

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ১১:২৫ এএম


আমাকে কোথাও যেতে দিতনা, তাই মাকে মেরে ফেলি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে নাসিমা আক্তার নামে এক নারী খুনের ঘটনায় তার ছেলে সিয়াম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপার আদালতে সিয়াম জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে সিয়াম বলেন, ‘আমার মা আমাকে অনেক আদর করতো, কোথাও যেতে দিতো না। তাই এই জেদ থেকে মেরে ফেলি। ঘরে আমি আর মা ছিলাম।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সিয়াম জানায়, তার মা ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় সে ছেহাইট দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মা মরেনি। পরে বটি দা দিয়ে কোপ দেয় সে।

ঘটনার পর সিয়াম তার মায়ের পাশে বসে বিলাপ করতে থাকে। জমি নিয়ে বিরোধে স্বজনরা হত্যা করে বলে অভিযোগ করতে থাকে সে। এক পর্যায়ে তার সাত বছরের শিশু ভাগিনা ফারুক জানিয়ে দেয় মামা সিয়াম তার নানীকে হত্যা করেছে।

শুক্রবার ভোরে শয়ন কক্ষের বিছানাতে নাসিমা আক্তারের রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল। প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশ সিয়ামকে আটক করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।

খুন হওয়া নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। তার লাশের ময়না তদন্ত জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়। এঘটনায় মিজান মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী  শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে  এসে দেখেন বিছানাতেই নাসিমা আক্তারের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, ছেলে সিয়াম তার মাকে হত্যা করে। সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে মাকে সে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, পুলিশের কাছে সিয়াম হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। পরে সে আদালতে জবানবন্দিও দেয়।

বিআরইউ

Link copied!