Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

ফেব্রুয়ারি এলেই প্রাণ ফিরে পায় ভাষা শহীদ সালাম স্মৃতি জাদুঘর

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম


ফেব্রুয়ারি এলেই প্রাণ ফিরে পায় ভাষা শহীদ সালাম স্মৃতি জাদুঘর

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শহীদ আবদুস সালাম।

এ ভাষা শহীদের স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালামনগরে নির্মাণ করা হয় ‘ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।’

এ জাদুঘর নির্মাণের প্রায় দেড় দশক পার হলেও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে থাকে সারা বছর। কেবল ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই প্রাণ ফিরে পায় সালাম স্মৃতি জাদুঘর। শুরু হয় পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জা। এখানে আরও কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করা হলে প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করেন সালামের পরিবারসহ স্থানীয়রা।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাতৃভাষা বাংলা চাই শ্লোগানে রাজপথে নামলে ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত জখম হন সালাম। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সরকার ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবদুস সালামকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালে নিজ গ্রাম দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়।

এডিপির অর্থায়নে ১২ শতক জমিতে সাড়ে ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সালামনগরে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ২০০৮ সালের ২৬ মে সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করেন।
২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শহীদ আবদুস সালামের ছোট ভাইয়ের মেয়ে খাদিজা বেগমকে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারিক লুৎফুর রহমান বাবলু জানান, সালাম জাদুঘরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বই আছে। সাম্প্রতিক বন্যায় অনেকগুলো বই ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরই মধ্যে নতুন কিছু বই ও আসবাবপত্র সরবরাহ করেছেন। আশা করি বইগুলো পাঠকের খোরাক যোগাবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল ইসলাম আমার সংবাদকে জানান, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সালাম নগরে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে পুস্পমালা অর্পণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে গ্রন্থাগারের নতুন নতুন বই পৌঁছে দিয়েছি। নতুন আলমারিসহ আসবাবপত্র সরবরাহ করেছি। শীঘ্রই আরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বই সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া সারা বছর যেন এখানে মানুষের সরব উপস্থিতি থাকে, সেই লক্ষ্যে উপজেলা থেকে এখানে প্রতিমাসে কোনো না কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও তিনি জানান।

ইএইচ

Link copied!