যশোর ব্যুরো
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
যশোর ব্যুরো
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
এবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বসছে না দুই বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের মিলনমেলা।
প্রতিবছর যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের নো-ম্যান্সল্যান্ডে ভাষাপ্রেমী মানুষের এই মিলনমেলা বসতো। বুকে কালো ব্যাজ, মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-র গান, আর নানা রঙের ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফুলে ভরে উঠতো নো-ম্যান্সল্যান্ড।
আবেগঘন পরিবেশে দুই দেশের মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করে কয়েক মুহূর্তের জন্য ভুলে যেতেন সব ভেদাভেদ।
সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে ভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে দুই দেশের মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর এ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতো। পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে হাজির হতেন হাজার হাজার মানুষ। সীমান্ত রেখার আনুষ্ঠানিকতা ভুলে দুই দেশের মানুষের মধ্যে একাত্মতার আবহ তৈরি হতো।
নো-ম্যান্সল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হতো, যেখানে দুই দেশের হাজারো মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করতেন শহীদ বেদীতে। আবেগ আর ভালোবাসার মেলবন্ধনে সীমান্ত রেখা যেন ম্লান হয়ে যেত।
কিন্তু এবার সেই পরিচিত দৃশ্য আর দেখা যাবে না। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের জটিলতার কারণে এবার যৌথভাবে কোনো মিলনমেলা বা অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে সীমিত পরিসরে একটি ছোট অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির টানাপোড়েন এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের অবনতির কারণে এবার মিলনমেলা আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইএইচ