অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
যশোরের অভয়নগরে বসন্তের আগমনে রক্তিম রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। শিমুল গাছে ফুল ফুটেছে, কিন্তু পাতাহীন গাছগুলোতে শুধুই লাল আভা। ফুটন্ত এই শিমুল ফুল দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
রোববার সকালে উপজেলার রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় ফুটন্ত রক্তলাল শিমুল গাছ দেখা গেছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে শিমুল ফুলের উজ্জ্বল লাল রঙ। পরে এই লাল ফুল ঝরে গিয়ে সাদা তুলায় রূপ নেয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তিতে তুলা উৎপাদন এবং ফোমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলার ব্যবহার কমে গেছে।
একসময় গ্রামবাংলার বিভিন্ন জায়গায় শিমুল গাছ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত, কিন্তু কালের বিবর্তনে বসন্তে রক্তলাল শিমুল গাছ খুব একটা চোখে পড়ে না। বর্তমানে মূল্যবান শিমুল গাছ বিলুপ্তির পথে।
উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের উড়োতলা গ্রামের বাসিন্দা মতীন গাজী বলেন, "শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। এর শেকড়ের নানা ওষুধি গুণ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিমুলের রস ব্যবহার করত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূল ব্যবহৃত হতো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার পল্লীমঙ্গল আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ খায়রুল বাসার বলেন, "একসময় গ্রামবাংলার শিমুল গাছ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানুষ শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করত, কেউবা তা দিয়ে লেপ, তোশক, বালিশ তৈরি করত। শিমুল তুলা বিক্রি করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন, এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন শিমুল গাছ চোখে পড়ে না।"
এ প্রসঙ্গে অভয়নগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন বলেন, "কালের বিবর্তনে শিমুল গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। এর কাঠ খুব বেশি টেকসই না হওয়ায় আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় না। অন্যদিকে, বিভিন্ন ধরনের ফোমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলার চাহিদা কমে গেছে। ফলে এই মূল্যবান গাছটি এখন বিলুপ্তির পথে।"
ইএইচ