মাগুরা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
মাগুরা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪টি দোকানে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দিবাগত রাতে শহরের দুটি পৃথক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানের ফটকের শাটার ভেঙে অর্থ ও জিনিসপত্র চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, গতকাল রাতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। পরে গভীর রাতের কোনো এক সময় জেলা শহরের প্রধান সড়ক, জামে মসজিদ রোড, জুতাপট্টি, নিরো এন্টারপ্রাইজ, ভৌমিক স্টোর, কলেজ রোডে এ.জি একাডেমী স্কুলের সামনে এবং গোধূলী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামীয় দোকান শোরুমে হানা দেয় চোরেরা।
এ সময় দোকানের ফটকের শাটার ভেঙে নিরো এন্টারপ্রাইজ থেকে দোকান ঘরের শাটারের নিচে ইট দিয়ে শাটার বেকা করে প্রবেশ করে দোকানে থাকা নগদ বার লক্ষ বত্রিশ হাজার টাকা, জমির দলিলপত্র ও কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায় (যা দোকানের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডকৃত)।
ভৌমিক স্টোর দোকানের প্রবেশদ্বারের শাটার বেকিয়ে ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা টাকা চুরি হয়।
এছাড়া গোধূলী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট দোকানের প্রবেশদ্বারের শাটার বেকিয়ে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা টাকা চুরি হয়। এছাড়াও, কলেজ রোডে নারদ ইলেকট্রনিক্স দোকানেও চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মোস্তফা আমানউল্লাহ আল মামুন, নিরো এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী, বার লক্ষ বত্রিশ হাজার টাকাসহ, জমির দলিলপত্র ও কাগজপত্র চুরির অভিযোগ তোলেন।
এক রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এতগুলো চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, শহরের যেসব এলাকায় চুরি হয়েছে, সেখান থেকে সদর থানা ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়। পুলিশের দায়িত্ব পালনে অনীহা আছে বলে তাদের অভিযোগ।
মাগুরা জেলা বণিক সমিতির আহবায়ক মুন্সি হুমায়ুন কবীর রাজা বলেন, "গতরাতে একই পোশাক পরিহিত শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে চুরি হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ী মহল যারা আছি, আমরা চাইবো নাইটগার্ডরা যেন যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে, এবং প্রশাসন যেন নিজেদের দায়িত্বে আরও কিছু ডিউটি বাড়ায়। নাইটগার্ড এবং পুলিশের সহযোগিতায় আমরা যেন মাগুরা জেলা শহরের ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা ও বসবাস করতে পারি। পাশাপাশি, উক্ত চুরির ঘটনাতে আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।"
অভিযোগের বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, "আমরা নিয়মিত শহরে টহল দিয়ে আসছি। এসব চুরির ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। চুরি হওয়া অর্থ ও মালামালের পরিমাণ বেশি হলেও, এতগুলো দোকানে চুরির বিষয়টি দুঃখজনক। কয়েকটি দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চোর চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।"
ইএইচ