কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত চার শিবির কর্মীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের নিহত শিবির কর্মী আবদুল আজিজ রায়হান, রামপুর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম এবং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম বাবলুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর নিহত শিবির কর্মী মতিউর রহমান সজিবের লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল ইসলাম, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন সহ নিহতদের পরিবারের স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মীবৃন্দ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত শিবির কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইএইচ