তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
অতিথি পাখির অভয়ারণ্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে পাখি শিকারিদের দেওয়া বিষটোপ খেয়ে এক খামারির ৫০০ হাঁস মারা গেছে। সোমবার দুপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের রৌয়া বিলে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক সুজন মিয়া সোমবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের আহম্মদ মিয়া-সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শীত মৌসুমের শুরু থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রায় সবকটি বিলে পাখি শিকারিরা তৎপর হয়ে উঠে। সংঘবদ্ধ শিকারি চক্র হাওরের বিলগুলোতে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত ধান ছিটিয়ে রাখে। পরে অতিথি পাখিরা খাবারের সন্ধানে বিলের পাড়ে এসে বিষ মিশ্রিত ধান খেয়ে মারা যায়। পরে শিকারিরা মৃত পাখি জবাই করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। অসাধু শিকারির বিষ মিশ্রিত ধান খেয়ে খামারিদের হাঁসও মারা যাচ্ছে। উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের সুজন মিয়া একটি এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে একটি হাঁসের খামার তৈরি করেন। খামারে তার ১১০০ টি হাঁস আছে। তিনি নিজে ও একজন কর্মচারী নিয়ে হাঁসের লালন পালন করছেন। হাঁসগুলো প্রতিদিন সকালে তারা টাঙ্গুয়ার হাওরের রৌয়া বিলে ছেড়ে দেন এবং বিকালে নিয়ে আসেন। সোমবার সকালে মন্দিয়াতা গ্রামের পাখি শিকারি আহম্মদ মিয়া, নেহার মিয়া ও জনিক মিয়া টাঙ্গুয়ার হাওরের রৌয়া বিলে বিষ মিশ্রিত ধান ছিটিয়ে রাখে। দুপুরে সুজন মিয়ার খামারের প্রায় ৫০০ হাঁস এ বিষ মিশ্রিত ধান খেয়ে মারা যায়।
খামার মালিক সুজন মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ ও ধার-দেনা করে একটি হাঁসের খামার তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পাখি শিকারিরা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ধানের সঙ্গে শিকারিদের দেয়া বিষ খেয়ে আমার প্রায় ৫০০ হাঁস মারা গেছে। বাকি হাঁসগুলোর অবস্থা খারাপ। যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি পাখি শিকারিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তাহিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, আমি খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত ও অভিযুক্ত পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরইউ