মহসীন ইসলাম শাওন, লালমনিরহাট
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
মহসীন ইসলাম শাওন, লালমনিরহাট
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ইউপি সদস্যের অবৈধ বালু উত্তোলনের ভিডিও করায় এক সাংবাদিককে হেনস্তা ও তার মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্তার শিকার চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী গ্রামে রাতের আঁধারে তিস্তা নদী থেকে ট্রাকে করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু তালেব আবু। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঘটনাস্থলে যান চ্যানেল ২৪-এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি মাহফুজুল ইসলাম বকুল।
এ সময় স্থানীয় বালুদস্যু খ্যাত ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু ও তার সহযোগীরা সাংবাদিক বকুলকে গালমন্দ করে, ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় এবং তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়, এতে তিনজন আহত হন। তারা বর্তমানে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে সাংবাদিক বকুল সরে দাঁড়ালে বালুদস্যু চক্রটি তার মোটরসাইকেল, ক্যামেরা ও ব্যাগে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে ট্রাকে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি বাড়িতে ফিরে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবু তালেব আবুকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল বলেন, "তিস্তা নদী থেকে প্রতিদিন রাতের আঁধারে ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু ও তার লোকজন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোনো সুফল মেলেনি। প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনের ভিডিও করছিলাম, তখনই আবু তালেব ও তার লোকজন ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে কয়েকজন মিলে মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা বালুর ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু বলেন, "আমার জমি নদীতে ভেঙে চর হয়েছে। সেখানকার বালু তুলে বিক্রি করি। এজন্য সাংবাদিক মাঝরাতে আসবে, এটা কেমন কথা? আমি তার মোটরসাইকেল বা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিইনি। ট্রাকের চালকদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি।"
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, "সাংবাদিকের ওপর এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ইএইচ