রাজয় রাব্বি, অভয়নগর (যশোর)
মার্চ ১, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
রাজয় রাব্বি, অভয়নগর (যশোর)
মার্চ ১, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
মসজিদের মিনারে সুমধুর কণ্ঠে আজানের ধ্বনি, বাইরে মৌমাছির গুনগুন শব্দ, আর দেওয়াল ও ছাদের কার্নিশে ঝুলছে সারি সারি মৌচাক।
মৌমাছিদের অভ্যর্থনায় মসজিদে নামাজ পড়তে ঢোকেন মুসল্লিরা। দেখে মনে হবে, মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সঙ্গে মৌমাছিদের রয়েছে নিবিড় বন্ধুত্ব। এমন চমৎকার দৃশ্য দেখা যায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর পুড়াখালি বাজার জামে মসজিদে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের সম্মুখভাগ ও দক্ষিণ পাশে অসংখ্য মৌচাক। প্রতি বছর সরিষার মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে এই মসজিদের দেওয়াল ও ছাদের কার্নিশে বাসা বাঁধে। বছর শেষে তারা আবার চলে যায় আপন গন্তব্যে। তবে এসব মৌচাক থেকে সংগৃহীত মধু বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, মৌচাকের নিচ দিয়ে মুসল্লিরা চলাচল করলেও মৌমাছি কখনো কাউকে হুল ফোটায় না।
মথুরাপুর পুড়াখালি মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি নওয়াব আলী মোল্ল্যা বলেন, “গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এভাবে মসজিদের কার্নিশে মৌমাছি বাসা বাঁধে এবং নির্দিষ্ট সময়ে চলে যায়। এসব মৌচাক থেকে সংগৃহীত মধু বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।”
মসজিদের ইমাম হাফেজ বেলাল হোসেন বলেন, “গত ১০ বছর ধরে মৌমাছি মসজিদের চারপাশে বাসা বেঁধে বসবাস করছে। তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করে না, আমরাও তাদের কোনো ক্ষতি করি না।”
প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছি সবসময় নিরাপদ ও যেখানে পর্যাপ্ত খাবার থাকে সে স্থানে বাসা বাঁধে। গ্রামটিতে প্রচুর সরিষার আবাদ হয়, যা মৌমাছির বসবাসের অন্যতম কারণ।ৎ
ইএইচ