৬ দফা দাবিতে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান

মাদারীপুর সরকারি কলেজের পকেট গেট বন্ধসহ ৬ দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন কলেজ শাখার ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দেওয়ার এক সপ্তাহ পরেও পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, এমন অভিযোগ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত (২০ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার মো. লুৎফর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় কলেজ শাখার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: ক্যান্টিন সংস্কার এবং পুনরায় চালু করা, ডিবেট ক্লাব এবং কমনরুম নিশ্চিত করা, নতুন ছাত্রাবাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা, ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র শহীদ দীপ্তের নামে ছাত্রাবাসের নামকরণ, দারোয়ান নিয়োগ, পকেট গেট বন্ধ এবং বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করা, কলেজ আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ, কলেজ আইডি কার্ড সংস্কার এবং ক্যাম্পাসের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নিশ্চিত করা।

এ সময়ে শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কলেজে আওয়ামী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা ও মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে কলেজের সকল ফি তিনগুণ বৃদ্ধি করেছে। এই অতিরিক্ত ফি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই অতিরিক্ত ফি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া, কোনো হলে শিক্ষার্থীদের অবৈধ সিট থাকবে না, সেটি নিশ্চিত করতে হবে এবং মেধা ভিত্তিতে সিট প্রদান করা দরকার।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের শেখ মেহেদী হাসান নিয়াজ, মেরাজুল ইসলাম জাহিদ, ইব্রাহিম খান, ইমন আহম্মেদ হৃদয়, জিহাদুর রহমান, সাব্বির, মুন্তাসির মৃধা, হাসিব বেপারী, অমিত হাসান, নাজমুল, সুমাইয়া সুমু, মিম আক্তার, মাহিনুর ইসলাম জেরিন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইদা হোসেন, সাব্বির খান, ইব্রাহিম হোসেন, জাবের মাতুব্বর, অন্তুকুন্ড, নূর-মোহাম্মাদ, বেলি আক্তার, তাসমিয়া নিসাত তুবা, তাসলিমা আক্তার, বৃষ্টি আক্তার, স্বর্ণা, ফারহানা খান, শিলা সহ অন্যান্যরা।

কলেজ ছাত্রদলের দেওয়া স্মারকলিপির বিষয় জানতে চাইলে মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান খান বলেন, "এ বিষয় পরে কথা বলব।"

ইএইচ