Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫,

নিখোঁজ ডাকাতের লাশ কীর্তিনাশা নদীতে ভেসে উঠল

জহিদ হাসান, মাদারীপুর

জহিদ হাসান, মাদারীপুর

মার্চ ৩, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম


নিখোঁজ ডাকাতের লাশ কীর্তিনাশা নদীতে ভেসে উঠল

মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে গণপিটুনির পর নিখোঁজ এক ডাকাতের মরদেহ ভেসে উঠেছে। এতে ডাকাতির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।

রোববার বিকালে সদর উপজেলার বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল বলেন, “আমি নদীতে হাত-মুখ ধুতে গেলে একটি লাশ ভাসতে দেখি। পরে স্থানীয়দের ডেকে বিষয়টি জানাই, এরপর পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।”

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, “স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি সম্প্রতি সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”

স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুর-শরীয়তপুর জেলার সীমান্তবর্তী খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে একদল দুর্বৃত্ত স্পিডবোটযোগে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। বালুবাহী জাহাজে অস্ত্রসহ ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। পালানোর সময় ডাকাতরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি চালিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে, এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় এলাকাবাসী একাধিক ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দিয়ে কীর্তিনাশা নদীর শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় ডাকাতদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাত ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজন শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে, একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সর্বশেষ রবিবার নদীতে আরেকজনের মরদেহ ভেসে ওঠে, ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।

নিহতদের মধ্যে রিপনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকায় এবং আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায় বলে জানা গেছে। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

ইএইচ

Link copied!