মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
মার্চ ৭, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
মার্চ ৭, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
মাগুরা শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানা ঘেরাও করায় বিক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছে সেনাবাহিনী।
মাগুরা শহরের নিজনান্দয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা পরও জ্ঞান ফেরেনি ওই শিশুর। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে বৃহস্পতিবার মাগুরা সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেল পরে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় শিশুটির দুলাভাই সবুজ শেখ (১৮) ও তার বাবা হিটু শেখকে (৪২) আটক করেছে মাগুরা জেলা পুলিশ।
শিশুটির পিতা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনো সে অচেতন অবস্থায় আছে। তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হবে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে গতকাল দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ‘শিশুটির সঙ্গে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিশুটি অচেতন অবস্থায় ছিল। যে বাসায় সে বেড়াতে এসেছিল, ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
ওসি আইয়ুব আলী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় হাসপাতালে। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি।
মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার শরীরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগুরা শহরে মিছিল বের করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদর থানা ঘেরাও করেন এ সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
ইএইচ