রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মার্চ ৯, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মার্চ ৯, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাম্য শালিসে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি সহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে গ্রাম্য শালিসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন (৫৫), হুমায়ন কবির (৪২), বাচ্চু মোল্যার ছেলে ফরহাদ মোল্যা (৩৮), আলমগীর হোসেনের ছেলে রাশেদুল মোল্যা (২৫), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মন্ডল (৪৫), কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম (৬৫), মজিবর রহমানের ছেলে বাবলু (৩৫) সহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) সাথে একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (১৮) ২০২১ সালে প্রেম ভালোবাসা করে পালিয়ে চলে যায়। পরে আবার তারা বাড়ি ফিরে আসে এবং যার যার মা-বাবার কাছে চলে যায়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে পুনরায় তারা পালিয়ে নোটারী পাবলিক করে বিবাহ করে। এরপর মেয়ের বাবা ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার জিম্মায় গ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বালিয়াকান্দি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গত ০৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার সময় ছেলে-মেয়ে যোগাযোগ করে। ছেলেটি মেয়ের বাড়িতে আসে। তখন মেয়ের বাবা মো. আলমগীর হোসেন ও তার ভাই তুহিন, হুমায়ুন ও ছেলে রাশেদুল মিলে সাব্বিরকে আটক করে। তাকে বেধড়ক মারধর এবং একটি খেলনা পিস্তল সহ গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হতে থাকে। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় সাব্বিরকে উদ্ধার করেন। তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে বালিয়াকান্দি উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে এক সালিশি বৈঠক বসে। শালিসের একপর্যায়ে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস