Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫,

কালের সাক্ষী দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

মনির হাসান, দেলদুয়ার

মনির হাসান, দেলদুয়ার

মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম


কালের সাক্ষী দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন।

তন্মধ্যে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ অন্যতম। ধারণা করা হয়, স্যার আবদুল করিম গজনবী জমিদারদের পূর্বপুরুষরা এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

১৮৯৪ সালে আব্দুল করিম গজনবী জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, এবং তিনি সমাজসেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। সম্ভবত তখনই মসজিদটির পূর্ণাঙ্গতা লাভ হয়, তবে মসজিদের বয়স সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মসজিদটি সম্পূর্ণ কড়ি ও শ্বেত পাথরে তৈরি। মসজিদটি ২৮ শতাংশ জমির উপর নির্মিত, এর দৈর্ঘ্য ৫৫ ফুট, প্রস্থ ৪৮ ফুট এবং উচ্চতা ২৫ ফুট।

এই মসজিদে প্রায় ৩০০ জন মুসল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। এখন পর্যন্ত এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করে থাকেন স্থানীয়রা। জমিদার বংশধরেরা বর্তমানে এখানে বাস করেন না, তবে এ পরিবার কর্তৃক নিযুক্ত নির্ধারিত ব্যক্তিরা বাড়িটি দেখাশোনা করেন।

মসজিদের ভেতরে দেয়ালের কারুকাজ নান্দনিক এবং দৃষ্টিনন্দন। শ্বেতপাথরে খোদাই করা কোরআনের আয়াত লেখা রয়েছে দেয়ালের গায়ে। বাইরের দেয়ালেও আকর্ষণীয় নানা নকশা রয়েছে। মসজিদের তিনটি দরজা থাকলেও জানালা নেই।

আরও রয়েছে তিনটি বড় গম্বুজ, যা ছাদ থেকে প্রায় ২৫ ফুট উঁচু। চারপাশে চারটি মূল স্তম্ভ এবং ১৬টি ছোট স্তম্ভ শীর্ষে এসে গম্বুজের রূপ নিয়েছে। মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ পুরু। মসজিদের ঠিক সামনেই রয়েছে একটি দিঘি, যেখানে মুসল্লিরা ওযু ও গোসল করতে পারেন। এই দিঘির পাশে সিঁড়িযুক্ত পাকা ঘাটলা রয়েছে, তবে সিঁড়িগুলো বর্তমানে ভগ্নদশায় রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, জমিদার বাড়ি, জমিদারি আমলের মসজিদ, বিভিন্ন স্থাপনা ও দিঘি সংস্কার করা হলে এই ঐতিহাসিক স্থানটি একটি দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতে পারে।

ইএইচ

Link copied!