Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫,

মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম


মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর (কাঁঠাল লক্ষীপুর) গ্রামের কৃষক নেছার সরকার দুলু মিয়া এ বছর রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামে ২৮ শতাংশ জমিতে  মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের  ঝিঙে লাগিয়ে সকল কৃষকের আইকন হয়ে দাড়িয়েছে। 

তার জমিতে লাগানো ফসল দেখে অনেকেই পরামর্শ নিচ্ছে ও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

রোগবালাই মুক্ত ঝিঙে চাষে  বাম্পার ফলন হবে, আগাম উৎপাদন হওয়ায় বাজারে চাহিদা থাকবে, এতে লাভবান হবে কৃষক।

১৫ মার্চ নিজ জমিতে কাজ করা অবস্থায় কৃষক নেছার সরকার  দুলু বলেন, এ বছর আমি ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের ঝিঙে চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে। ৪৫ দিন পূর্বে লাগানো ঝিঙে গাছে ইতোমধ্যেই ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। এতে করে আশা করে আল্লাহ যদি কোন বালা মসিবত না দেয় তাহলে ফলন ভালো হবে, ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো।আমি গত বছর পরীক্ষা মুলক ভাবে মালচিং পদ্ধতি এক শতাংশ জমিতে  মালচিং পদ্ধতিতে আগাম  ঝিঙে চাষ করে ছিলাম। সেখানে ভালো ফলাফল হওয়ায় এ বছর ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভাবে ঝিঙে  চাষ করেছি।

মালচিং পদ্ধতি আগাম ঝিঙে চাষ করলে রোগ বালাই কম হয়,আগাছা হয় না, নিদিষ্ট দূরত্বে লাগানো চারা সুস্থ সবল হয়,সার কম লাগে,জমিতে জো ঠিক থাকে, সর্বোপরি উৎপাদন খরচ কম হয়। রোগ বালাই না থাকায় সার কীটনাশক খরচ নেই,সুস্থ সবল গাছে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।

সাধারণ ভাবে ঝিঙে মার্চ এপ্রিল মাসে লাগানো হয়। মে জুনে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। আর আমি জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ঝিঙের বীজ রোপণ করেছি এতে করে আমার উৎপাদিত ঝিঙে মার্চ এপ্রিলেই আসবে, বাজারে বেশি দামে বিক্রি হবে লাভও ভালো হবে।

এলাকার কৃষক আয়ুব আলী, জাহিদুল ইসলাম, আজাদুল জানায় দুলু আমাদের এলাকার  কৃষকরা যাতে কম খরচে উন্নত  ফসল উৎপাদন করে বেশী লাভ করতে পারে। সে জন্য দুলু নিজে আগে পরীক্ষা মুলকভাবে  আবাদ করে ভালো ফলাফল হলে সেই ফসল উৎপাদনে  কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এবছর সে পরীক্ষামূলক বিট রুট চাষ করে ভালো ফলাফল পেয়েছে।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম বলেন, নতুন নতুন পদ্ধতি কম খরচে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য  উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা চেষ্টা  করছি। আমি নেছার সরকারের সাথে বলে জানতে পেরেছি তিনি একজন নতুন উদ্যোমী সফল উদ্যোক্তা। আমাদের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বিআরইউ

Link copied!