চট্টগ্রাম ব্যুরো
মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
চট্টগ্রাম ব্যুরো
মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারের দাবি, ওয়ার্ডবয় বকশিশ না পাওয়ায় অক্সিজেনের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়।
নিহত নবজাতকের বাবা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালি ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাতদিন আগে চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ৯ মার্চ চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা জানান, শনিবার
সকাল ১০টার দিকে নবজাতক স্বাভাবিক আচরণ করছিল এবং খেলছিল। এ সময় অক্সিজেনের পানি শেষ হয়ে গেলে তিনি নতুন পানি দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডবয়কে অনুরোধ করেন। অভিযোগ উঠেছে, বকশিশ না দেওয়ায় ওয়ার্ডবয় অক্সিজেনের পানি সরবরাহ বন্ধ রাখে। এরপর পরিচ্ছন্নতার কথা বলে শিশুটির বাবা-মাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয়। পরে ওয়ার্ডে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে তারা দেখেন, শিশুটি মারা গেছে।
শিশুটির বাবা বেলাল উদ্দিন বলেন, “এই হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা বকশিশ ছাড়া এক কদম নড়ে না। প্রতিবার অক্সিজেন লাগানোর জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়া হয়। কিন্তু আজ টাকা না দেওয়ায় আমার সন্তানের জীবন চলে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, দিনমজুরি করে চলি। প্রতিবার ২০০ টাকা করে কোথায় পাবো? ডাকতে ডাকতে হয়রান হয়ে গেলাম, কেউ আসলো না। টাকা দিলেই কাজ করে, না দিলে করে না। যদি অক্সিজেনের পানিটা দিত, তাহলে আমার বাচ্চা বেঁচে থাকতো।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডবয় ও নার্সদের বিরুদ্ধে বকশিশ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। রোগীর স্বজনদের দাবি, প্রয়োজনীয় সেবা পেতে তারা বাধ্য হয়ে টাকা দেন।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দ্রুত বিভাগীয় প্রধানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
ইএইচ