হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
নোয়াখালীর হাতিয়া তমরোদ্দি ইউনিয়নের ক্ষিরোদিয়া গ্রামে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খতিজা খাতুন নামের এক অসহায় বিধবাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।
ভুক্তভোগী খতিজা খাতুন বর্তমানে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি তমরোদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ক্ষিরোদিয়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী।
হাতিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, তার বাড়ির পাশে ছোটখাটো ছেলেরা ফুটবল খেলছিল। একসময় ফুটবলটি তার নাতির গায়ে লাগে। নাতির চিৎকার শুনে দাদি দৌঁড়ে এসে ছেলেদেরকে ডাক দিলে তাদের গার্ডিয়ানরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় তার নাতি ও পুত্রবধূকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তিনি অসহায় বিধবা হিসেবে হাতিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- তমরোদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ক্ষিরোদিয়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন, তার স্ত্রী নাজমা এবং ছেলে মিয়া।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর হামলাকারীরা শুক্রবার রাতে বিধবার ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে অন্যান্য প্রতিবেশীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ভর্তি করেন।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আলী আফছার রাজু জানান, এই অসহায় বিধবা নারীর পরিবারে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি না থাকায় তিনি ও অন্যান্যরা জখমীর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, খতিজা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারে উপার্জনক্ষম আর কেউ না থাকায় তিনি স্থানীয় তমরোদ্দি বাজারে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। একমাত্র ছেলে হাতিয়া এবং চট্টগ্রামের ব্রিকফিল্ডে কাজ করে সংসারে কিছু সাহায্য করেন। তবে ছেলের বিয়ের পর তিনি নাতি ফাহিম এবং পুত্রবধূসহ একত্রে বসবাস করেন। ছেলের চট্টগ্রামে কাজ করার কারণে তিনি ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারেন না, এবং এ সুযোগে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর জুলুম করে আসছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান, বিধবাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পেয়েছি। রাতের বেলা তাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হবে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ