Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫,

অভয়নগরে কুমড়াখেতে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:

মার্চ ১৬, ২০২৫, ০১:২০ পিএম


অভয়নগরে কুমড়াখেতে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

মানবদেহের জন্য উপকারী, দামে কম পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল জাতীয় এক সবজির নাম মিষ্টিকুমড়া। সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মিষ্টি কুমড়াখেতে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগেও কাজ না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। সাদা মাছিপোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকায় আক্রান্ত হলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পরামর্শ গ্রহণের আহ্বান করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার ২৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করা হয়েছে। যা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বীজ বপনের মধ্যদিয়ে শুরু করা হয়। তবে মিষ্টিকুমড়ার ক্ষেত্রে সাদা মাছিপোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা সবথেকে ক্ষতিকর। আক্রান্ত হলে গাছের পাতার রং হলদে হতে শুরু করে। পাতা আকারে ছোট ও কচিপাতা সরু হয়ে কুঁচকে খসখসে হয়ে যায়। কুমড়ায় ছোট ছোট ছিদ্র দেখা যায়।

 একসময় ফলে পচন ধরে তা নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে অবশ্যই চাষিকে তার খেত সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। 

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক বিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। ভালো ফলও হয়েছে। সম্প্রতি সমস্যা দেখা দিয়েছে খেতে। মিষ্টিকুমড়ায় পচন ধরেছে। যে কারণে বিক্রি করতে পারছিনা। 
নওয়াপাড়া পৌর এলাকার গুয়াখোলা গ্রামের সুব্রত রায় বলেন, মাটিতে বীজ বপন করেছিলাম। মাচায় থাকা গাছের ফল খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু মাটিতে থাকা ২/৩ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া নষ্ট হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। পরে বিচালি দেওয়া শুরু করেছি। চেঙ্গুটিয়া গ্রামের অর্জুন, সফিকুল, ইমরান বিশ্বাসসহ অনেক চাষি তাদের কুমড়াখেত নিয়ে একই অভিযোগ করেন। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। 

এ ব্যাপারে রোববার (১৬ মার্চ) সকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন আমার সংবাদকে বলেন, মিষ্টিকুমড়া খেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিলে চাষিকে দ্রুত কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। অথবা মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ডেকে আক্রান্ত খেত ও মিষ্টিকুমড়া দেখাতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কোনো চাষি আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে অবশ্যই সুপরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।

চাষিদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, মাটিতে থাকা ফলের নিচে বিচালি (খড়) দেওয়া অথবা ১০ শতাংশে ৩টি সেক্সফেরোমেন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এছাড়া বায়োক্লিন (জৈব বালাইনাশক) স্প্রেও করা যেতে পারে। লাউ চাষিদের ক্ষেত্রে একই পরামর্শ দেন তিনি।

বিআরইউ

Link copied!