Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫,

নাগরপুরে সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের নতুন আশা দেখছেন দুলাল সরকার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৩:০০ পিএম


নাগরপুরে সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের নতুন আশা দেখছেন দুলাল সরকার

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সূর্যমুখী ফুল চাষে আশার আলো দেখছেন সৌখিন চাষি দুলাল সরকার (৬৫)। স্বল্প খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় তিনি নিজ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। উপজেলার ঘিওরকোল গ্রামের এই কৃষক প্রতি বছরই নতুন ও বিলুপ্তপ্রায় জাতের ফসল চাষ করে থাকেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ও কুসুম ফুলের মনোমুগ্ধকর বাগান। চারদিকে সবুজের মাঝে হলুদ-লালের মিশেলে এক অনন্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাতাসে দোল খাওয়া ফুলের সারি পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন।

দুলাল সরকার জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। এছাড়া মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদন এবং শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। বীজ বপনের ৮০-১০০ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলা সম্ভব, যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় দ্রুত এবং লাভজনক।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অল্প সময় ও কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এখন সূর্যমুখীসহ তৈলবীজ জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সূর্যমুখী চাষের জন্য প্রতি বিঘায় ১ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়, যা দেড় ফুট অন্তর বপন করতে হয়। সাধারণত ৮০-১০০ দিনের মধ্যে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস.এম. রাশেদুল হাসান জানান, "সূর্যমুখী তেলের বাজার চাহিদা বাড়ছে, কারণ এটি কোলেস্টেরল মুক্ত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কৃষি অফিস কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে, যাতে তারা আরও উৎসাহিত হন।"

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সূর্যমুখী চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ১০-১৫ মণ বীজ উৎপাদন হয়, যা থেকে প্রায় ১৫ লিটার তেল পাওয়া যায়। প্রতি লিটার তেলের বাজারমূল্য ৩০০-৩৫০ টাকা, ফলে কৃষকরা দ্বিগুণেরও বেশি লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার চরাঞ্চলসহ প্রায় ৭-৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!