ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
মার্চ ১৮, ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
মার্চ ১৮, ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ ও আধুনিক রেলসেতু। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে সচিব ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের বাংলাদেশ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা সিনচি এবং জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়াকি। রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে প্রায় ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের সুযোগ দেবে, যা পূর্বের যমুনা সেতুর তুলনায় সময় সাশ্রয়ী। ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া জানান, সেতু পার হতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ মিনিট, যা আগে ২০ মিনিট সময় নিত।
রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সেতুটি শুধু একটি প্রকৌশলগত বিস্ময়ই নয়, এটি দেশের উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেতুর ডেকে গ্যাস পাইপলাইন ও বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও ত্বরান্বিত করা হবে।’
এই সেতুটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করবে এবং ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করবে। ভবিষ্যতে এই সেতু দিয়ে ৮৮টি ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে, যা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
যমুনা রেলসেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সংযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বিআরইউ