Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫,

৯ বছর জেল খেটে জামিন পেলেও পরিবারের কাছে ফিরতে পারেনি সাইফুল্লাহ

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

মার্চ ১৯, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম


৯ বছর জেল খেটে জামিন পেলেও পরিবারের কাছে ফিরতে পারেনি সাইফুল্লাহ

১৬ বছর বয়সে গ্রেপ্তার হয়ে ৯ বছর একটি মামলায় জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায় কাজী খালেদ সাইফুল্লাহ। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারেনি।

জেল গেট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। একদিন পর তাকে ৫৪ ধারার মামলায় ঢাকার জর্জ কোর্টে হাজির করা হয়। তার মুক্তির জন্য মাদারীপুরে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম মাদারীপুর জেলা শাখা এবং সাইফুল্লাহর মা, নাজমা আক্তার।

২০১৬ সালের ২৬ জুন রাতে ডাসারের গোপালপুর ঈদগাহ মসজিদ থেকে ১৬ বছর বয়সী সাইফুল্লাহকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১ জুলাই ঢাকা ডেমরা থেকে সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মাস পর মাদারীপুরের কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাইফুল্লাহর নাম যুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পর অদৃশ্য শক্তির কারণে সাইফুল্লাহর জামিন দেওয়া সম্ভব হয়নি, এমন অভিযোগ স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

সাইফুল্লাহর পিতা প্রফেসর কাজী বেলায়েত হোসেন তার সন্তানের উপর নির্যাতনের কারণে কষ্টে মারা যান, এমন অভিযোগও রয়েছে।

৫ আগস্ট সরকার পতনের পরের দিন সাইফুল্লাহ ঢাকার ডেমরা থানার সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় জামিন পায়। ৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় জামিন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর আদালত জামিন স্থগিত করে। ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট জামিন স্থগিত আদেশ বাতিল করে। সাইফুল্লাহর জামিনের সব কাগজপত্র পৌঁছানোর পরও কাশিমপুর জেল কর্তৃপক্ষ তাকে ৫ দিন মুক্তি দেয়নি।

১০ মার্চ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দেওয়ার কথা বললেও, পরিবারের সদস্যরা জেল গেটে গেলে তাকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার জজ কোর্টে হাজির করা হয়। কোর্টে জামিন চাওয়া হলেও আদালত জামিন না দিয়ে তাকে আবারও জেল হাজতে পাঠায়। আগামী ২৪ মার্চ তার জামিন শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।

সাইফুল্লাহর মুক্তির দাবিতে তার পরিবার এবং হেফাজতে ইসলাম মাদারীপুর জেলা শাখা সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক দুটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।

ইএইচ

Link copied!