আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
মার্চ ২২, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
মার্চ ২২, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জ্ঞান অর্জিত হয়, তা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একসময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিকল্প ছিলো না, কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনসহ নানা বিকল্প প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে অভিভাবকরা সুবিধামতো সন্তানদের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে পারেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হচ্ছে, কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য অভিভাবকদের অনেক অর্থব্যয়ের প্রয়োজন হয়। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া উচিত নয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে অবকাঠামো রয়েছে, তা অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নেই। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসম্পন্ন এবং তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাওয়া যায় না।
শনিবার সকালে ময়মনসিংহের টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে প্রধান শিক্ষকরা রুটিন মডিফাই করতে পারবেন। শহর ও গ্রামে পাঠদানের সময় নির্ধারণ করলে সঠিক হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হলে, শনিবার খোলা রেখে তা কাভার করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বছরে মোট কর্মদিবস মাত্র ১৮৫ দিন, কিন্তু এসব দিনে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই স্কুল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, স্কুল চলাকালীন সময়ে তারা যেন নিজেদের অন্য কাজে নিয়োজিত না হন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
ইএইচ