সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
সাপাহারে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বড় দুটি মার্কেটের গার্মেন্টস দোকানগুলো (বিপণী বিতান) ছাড়াও ফুটপাতের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা একে অপরের সঙ্গে সারছেন কেনাকাটা, বড়দের গেঞ্জি, জিন্সের প্যান্ট, মেয়েদের থ্রি পিস, পায়জামা-পাঞ্জাবি, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে দোকানগুলোতে।
সাপাহার লাবনী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, জনতা মার্কেট—এই তিনটি মার্কেটে ১৫ রমজান থেকে ঈদের জমজমাট ব্যবসা চলছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন এবং অনেকেই শুধু দেখে যাচ্ছেন। তবে এক দামে বেশিরভাগ দোকানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে।
সাপাহার জিরো পয়েন্ট ফুটপাত থেকে পছন্দের জামাকাপড় কেনার সময় সেলিনা খাতুন নামের এক নারী ক্রেতা জানান, প্রতিবছর কম টাকায় পরিবারের ঈদের কেনাকাটা করেন। বাজেটের মধ্যে যা কিনেন, তাতেই পরিবারের সবাই খুশি হন।
আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি স্বল্প আয়ের মানুষ। আশা ব্যাংক এনজিওতে চাকরি করেন এবং চার সদস্যের ভরণপোষণ করেন। রমজান মাসে সংসারের খরচ বাড়ে, তাই ফুটপাত অথবা জনতা মার্কেট থেকেই পরিবারের সব সদস্যের জন্য কেনাকাটা করবেন।
জনতা মার্কেটের বিক্রেতারা জানান, এখানে যারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন, তারা সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ। তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পোশাক কিনে তারা বাসায় ফিরছেন। অনেক দিনমজুর বা শ্রমিক তাদের প্রতিদিনের শ্রমের টাকাগুলো থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক কিনে নিচ্ছেন। তাদের দোকানে ৫০/১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে পোশাক পাওয়া যায়।
ক্রেতারা আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে প্রায় সবধরনের পোশাকের দাম বেড়ে গেছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই, পরিবারে সবার জন্য যতটুকু কিনতে পারছি, সেটুকু নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে জনতা মার্কেটের ব্যবসায়ী আবুল বাশার বলেন, প্রতি বছরই পোশাকের দাম কিছুটা বাড়ে। সেই হিসেবে গত বছরের চেয়ে পাইকারিতে কিছুটা বাড়তি দামে পোশাক কিনে এনেছেন তারা। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে সীমিত লাভ রেখে তারা পোশাক বিক্রি করেন, তাই ক্রেতা পর্যায়ে দাম কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে।
ইএইচ