ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
ইয়ামিন হাসান, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
সাঘাটা উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসার অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে প্রত্যন্ত চরাঞ্চল থেকে অসংখ্য রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে সাধারণ রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সামান্য গুরুতর সমস্যাতেও রোগীদের অন্যত্র সেবা নিতে পাঠিয়ে দেয়, ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগান্তি বাড়ছে।
৫০ শয্যার অনুমোদিত এই হাসপাতালে রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, সরকারি এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেশিনটি আনার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী এর সুবিধা পায়নি, ফলে রোগীদের বাইরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে।
এছাড়া, হাসপাতালটির পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অদক্ষ কর্মীদের উচ্চ পদে বসানো হচ্ছে এবং দক্ষ কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টাফ জানান, অফিস সহকারী (কম্পিউটার অপারেটর)কে পরিসংখ্যানবিদের, পরিসংখ্যানবিদকে অফিস সহকারীর এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল)কে ওষুধ বিতরণের কাজ দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং রোগীরা আরও বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একজন-দুজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় হাসপাতালজুড়ে অনিয়ম চলছেই। সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন বলেন, “এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এক্স-রে মেশিনের জন্য নির্ধারিত রুম না থাকার কারণে মেশিনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে অচিরেই মেশিনটি চালু হবে এবং সাময়িকভাবে কর্মী পরিবর্তনের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।”
হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, ওষুধ সংকট, এক্স-রে মেশিনের অকেজো অবস্থা এবং অনিয়ম নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, হাসপাতালটির পরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কর্মী না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা ঝুঁকিতে রয়েছে।
এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে একটি কার্যকর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হোক।
ইএইচ