বরিশাল ব্যুরো
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
একে একে তিনবার একই বাসায় রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড (বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ সড়ক)জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ও বরিশাল পুলিশ লাইনের বিপরীতে ২ শ’ মিটার পাশেই উত্তর আলেকান্দা এলাকার এলাকার বাসিন্দা বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামের বাড়ি (গ্রীন ভিউ) দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে।
চলতি বছরের চলতি মাসের ২২ মার্চ দিবাগত রাত নয়টার দিকে এই চুরির ঘটনা সংঘটিত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাড়িতে থাকা কেয়ার টেকার ও প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বজন মায়া বেগম।
গ্রীন ভিউ বাড়িতে বসবাস করা কালাম খানের স্ত্রী মায়া বেগম জানান, এর আগেও দুই বার চুরি হয়েছে বাসাটি। ফের গত শনিবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ের বাসা যাই। কাজ শেষ করে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি বাসার এসে গেট ভিতর থেকে তালা মারা দেখতে পাই। পরে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই পিছনে জানালা ভাঙ্গা। পরে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।পরে দেখা যায় আমাদের বাসার সকল মালামাল তছনছ করে চুরির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এর আগেও দুইবার বাসা চুরি হয়। পরে পাশের বাসার লোকজনদের সন্দেহ হলে বিষয়টি কোতয়ালী থানায় একটি চুরি মামলা করি। পরে পুলিশ এসে পাশের বাসার জুয়েলের ঘর থেকে একটি গ্যাসের চুলা ও দুইটি ফ্যান উদ্ধার করে। এবং তার কিছু দিন আগে একই বাসা থেকে আমাদের বাড়ির দলিল উদ্ধার করা হয়। যে মামলা এখনও আদালতে চলমান রয়েছে। যার হাজিরার তারিখ আগামী সোমবার। সেই জের ধরেই পূর্ব শক্রতার জের ধরে জুয়েল বাহিনী আবারও চুরি করে আমাদের বাসা।
তিনি আরো বলেন চুরি করে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করা পাঁচ জন ব্যক্তি আমাদের ঘরের তিনটি আলমারি ইতিমধ্যে ভেঙ্গে ফেলেছে। রাতের অন্ধকারের কারনে আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্র পালিয়ে যায়। বাসায় ঢুকে দেখি আলমারিতে থাকা একজোড়া কানের দুল, হাতের আংটি ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা সহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চুরির ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে চুরি হওয়া সেই বাড়িতে থাকা মায়া বেগমের দাবি, গত প্রায় দুই মাস পূর্বে এই বাড়িতেই একবার চুরি হয়েছিলো। তখন এই বাসার বেশ কিছু মালামাল পার্শ্ববর্তী শামসুল আলমের পুত্র ও স্থানীয় জুয়েলের বাসায় পাওয়া যায়, এবং জুয়েলের বাসার ব্যবহারকৃত প্লাস, স্ক্রু ড্রাইভার সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমাদের বাসার আঙ্গিনায় পাওয়া যায়। সে সময় এ ঘটনায় মো. কালাম বাদী হয়ে জুয়েলকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মায়া বেগম পরিবারের সদস্যবৃন্দের দাবি, এবারো এই চুরির সাথে জুয়েল জড়িত আছে। আর জুয়েলকে সামনে ও পেছন থেকে এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা করেছেন জুয়েলের তথাকথিত মামা পরিচয়দানকারী জনৈক ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ স্বপন নামের এক ব্যক্তি। এদিকে চুরি সংঘটিত হওয়া বাড়ির সদস্যদের দাবি- এর আগে ডাকাতির ঘটনায় জুয়েল আটক হয়ে বেশ কিছু দিন জেল খেটে বের হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন। আমরা অতিদ্রুত সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবী করি। পাশাপাশি দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমার জানি না। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস