জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সদর উপজেলার শ্রমিকদলের একাংশের সভাপতি শাকিল মুন্সিকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত শাকিল মুন্সি নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে। ঘটনাটি রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকায় ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদারের ছোট ভাই লিটন হাওলাদারকে সম্প্রতি মাদারীপুর পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় নিহত শাকিল ও তার লোকজন। আওয়ামী লীগ আমলে আক্তার হাওলাদার ও লিটন হাওলাদারদের একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে এই এলাকায় বিএনপির সমর্থকরা। লিটন হাওলাদারকে পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি করার পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এ নিয়ে শাকিল ও লিটনের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগেও রুবেল হাওলাদারের সাথে আক্তার হাওলাদারের এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। আক্তার হাওলাদার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলায় জেল হাজতে আছেন। স্থানীয় বিএনপি ও শ্রমিকদলের সাথে আঁতাত করে আক্তার হাওলাদারের ভাই লিটন হাওলাদার পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি হয়। এতে সদর উপজেলা একাংশের সভাপতি ও রুবেল হাওলাদারের সমর্থক শাকিল মুন্সি ও তার দলবল বিষয়টি মেনে নিতে পারে নি।
রবিবার দুপুরে দুই গ্রুপের দুই সমর্থকের কথা কাটাকাটির জের ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সুযোগ বুঝে রাত ১১টায় লিটন হাওলাদার দলবল নিয়ে শাকিল মুন্সির উপর হামলা করে। সেসময় শাকিলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। শাকিলের চিৎকারে লোকজন বেরিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শাকিলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির সমর্থকরা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত শাকিলের ভাই মাদারীপুর পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুন্সি বলেন, ‘আমার ভাই শাকিলকে প্রতিপক্ষ লিটন, আল আমিন, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, শাকিল মুন্সি নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরএস