ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
মার্চ ২৫, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
মার্চ ২৫, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙ্গুড়া ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জগতলা থেকে ভেড়ামারা চক্রপাড়া পর্যন্ত ২.২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়ক ১৬ ফুট কার্পেটিং করা হয়েছে। এছাড়া কার্পেটিং অসমতল ও অসংখ্য গর্তে ভরা।
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভাঙ্গুড়া উপজেলার জগতলা বাজার থেকে ভেড়ামেরা বাজারের চক্রপারা পর্যন্ত ২.২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করার দরপত্র আহ্বান করে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪৪ লক্ষ টাকা। কাজটি পায় পাবনার ঠিকাদার মঈন উদ্দিন বাঁশি। কিন্তু কাজটি কিনে নেয় সব ঠিকাদার আবির হোসেন। দুই সপ্তাহ আগে আবির হোসেন কাজটি শুরু করেন। এরপর থেকে তড়িঘড়ি করে আট থেকে দশ দিনের মধ্যেই দায় সারা ভাবে কাজ শেষ করেন ঠিকাদার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত। সর্বশেষ ২০২০ সালে এই সড়কের সংস্কার হয়। এতে সড়কের অনেক স্থানে দুই পাশে ভেঙে গিয়ে ১৫ থেকে ১৬ ফুট প্রশস্ত হয়ে আছে। এছাড়া সড়কের অসংখ্য ছোট বড় গর্ত ছিল। ঠিকাদার ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কের অধিকাংশ স্থানে ১৬ থেকে ১৭ ফুট করে কার্পেটিং করেছেন। আর ভাঙ্গনের এলাকায় সড়ক সংস্কার না করে অনেক স্থানে ১৫ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করে কাজ শেষ করেছেন। কার্পেটিং অসংখ্য ছোট ছোট গর্তে ভরা। এলাকাবাসীর মতে দায়সারা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে।
পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক মধু বলেন, ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়ক আর ১৮ ফুট নেই। ভাঙ্গনের স্থানসমূহ ওইভাবে রেখে সংস্কার করা হয়েছে। কার্পেটিং চরম অসমতল ও গর্তে ভরা। মোটরসাইকেল চলাচলেও ঝাঁকুনি লাগে। দায়সারা এ সংস্কার বেশিদিন টিকবে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবির হোসেন বলেন, শিডিউল মোতাবেক ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কেই কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে। এরপরেও কোথাও কার্পেটিং বাদ থাকলে এসে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কথা বলতে পাবনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাদিকুর রহমানকে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
পাবনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুরুল আজিজ হোসেন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরইউ