বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদককারবারিদের হামলায় বাড়িঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মমিন মার্কেট এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এতে দু’পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদককারবারি মতি কাজী ও ইসলাম কাজীসহ তাদের গংদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের দাউদ কাজীর ছেলে ইসলাম কাজীকে প্রায় দুই মাইল ধাওয়া করে আটক করে। পরে ইসলাম কাজীর স্বীকারোক্তিতে তার মায়ের ঘরের একটি সুকেস থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মতি কাজী আগেই পালিয়ে যায়। ইসলাম কাজী আটক হওয়ার পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রাত ৮টার দিকে ইসলাম কাজী ছাড়া পেয়ে বাড়িতে পৌঁছালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতি কাজী (মতি মেম্বার) ও তার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল সাতটি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়, এতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং মাদককারবারিদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মমিন মার্কেট এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সোতাশী, চালিনগর এলাকার কয়েকশত নারী-পুরুষ।
অপরদিকে, ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়া বাদী হয়ে মতি কাজীকে আসামি করে মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। মামলার নম্বর ২৪।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, "মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থানায় মামলা করেছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।"
ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী বলেন, "আমাদের নিকট তথ্য ছিল মতি কাজীর বিরুদ্ধে। আমাদের টিম অভিযান চালিয়ে মতি কাজীর ঘর থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। ইসলাম কাজীর নিকট থেকে কিছু পাওয়া যায়নি, তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বা কোনো বিধি লঙ্ঘন হয়নি। তবে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে আমার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ইএইচ