ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি
মার্চ ২৭, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি
মার্চ ২৭, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্মৃতিসৌধের নামফলক থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে থানা ভবন ও ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় অবস্থিত স্মৃতি সৌধের নাম ফলক থেকে তাদের নাম কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলা হয়। উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এসএম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাদের নাম মুছে দেন।
পরে নামফলক মুছে দেওয়ার দৃশ্য ধারণ করা একটি ভিডিও ওই কৃষক দল নেতা নিজের ফেসবুকে আপলোড করে লেখেন ’স্বাধীনতার এই দিনে থানা কমপ্লেক্স থেকে মুছে দিলাম খুনির নাম’। এদিকে নাম ফলক থেকে আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার নাম মুছে দেওয়ায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা।
স্থানীয় লিটন রাজ জানান, যারা খুনিদের নাম মুছে দিয়েছেন তাদের সংগ্রামী অভিনন্দন। খুনিদের নাম নিশানা বাংলার জমিনে থাকবে ন।
এ বিষয়ে কৃষকদল নেতা আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা একজন খুনি। এই খুনির দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হাজার-হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের কোন চিহ্ন এই দেশের মাটিতে থাকতে পারে না।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রকাশ্যে পুলিশকে খুনের নির্দেশ দেন। আর হাসিনার স্থানীয় দোসর মকবুল হোসেন ক্ষমতার দাপটে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখে ছিলেন। আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে জেল খাটিয়েছেন। অনেক জুলুম, নির্যাতন করেছেন। এদের নাম কোথাও দেখলে আমাদের সহ্য হয় না।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদে ছিলেন। সেখান থেকে এসে দেখেন নাম ফলকটি কালো কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে।
বিআরইউ