Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫,

দুই মাসে ২৪০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

মার্চ ২৭, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম


দুই মাসে ২৪০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের সুইচ গেটের মাঝখানের পাকা রাস্তা থেকে ক্লুলেস ডাকাতির মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মনোহরদী থানা পুলিশ।

এ ছাড়া, মনোহরদীতে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মিয়া (৪২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপরদিকে, গত দুই মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে হারানো ২৪০টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে উদ্ধার করে মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান।

পৃথক তিনটি ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মনোহরদীর লেবুতলা ইউনিয়নের সুইচ গেটের মাঝখানের পাকা রাস্তা থেকে ক্লুলেস ডাকাতির মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মনোহরদী থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মের্সাস অয়ন ট্রেডিং লেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানি ডেলিভারি ম্যান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা খিরাটি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে কিরণ হোসেন (২৪), একই উপজেলা ও গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী মৃদুল (১৯) এবং অয়ন ট্রেডিং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানির ড্রাইভার মনোহরদী উপজেলার লাখপুর চন্দনবাড়ী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. পলাশ মিয়া (২৭)। 

তারা নিজেরাই ডাকাতির ঘটনার নাটক সাজিয়ে মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে, অভিযোগে তারা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি হওয়া বলে উল্লেখ করে। এ ঘটনায় মনোহরদী থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। পরে তদন্তে নামে মনোহরদী থানা পুলিশ।

মনোহরদী থানা পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ওই তিনজনের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০ টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া, পুলিশ সুপার জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী পরিবারের অগোচরে গত ৯ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গত ১২ মার্চ শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় মনোহরদী থানার উত্তর চরমান্দালিয়া গ্রামের জনৈক আব্দুল আলীর ভুট্টা ক্ষেতে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ধর্ষণ করে ওই গ্রামের সুমন মিয়া (৪২)। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাটি টের পেয়ে থানায় খবর দেয়। 

পরে পুলিশ নির্যাতিত ওই নারীকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। খবর পেয়ে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বোন এ ঘটনায় মনোহরদী থানায় অভিযুক্ত সুমন মিয়াকে আসামী করে মামলা করেন। পুলিশ বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গত দুই মাসে হারানো জিডি মূলে ২৪০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) মো. রায়হান সরকারসহ জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ইএইচ

Link copied!