ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মার্চ ২৮, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মার্চ ২৮, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
মাদারীপুরের ডাসারে পানি নিষ্কাশনের সরকারি খালের জায়গা অবৈধভাবে ভরাট ও পরে দখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ করে আসছেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এদিকে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা রয়েছে দাবী করেন, স্থানীয় সচেতন মহল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাসার উপজেলার ৩৩ নং ধামূসা মৌজার ১ খতিয়ানে বিআরএস ৭২১ নং দাগে খাল সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত রয়েছে। এবং খালের প্রবাহিত পানি দিয়েই কয়েক শত একর জমিতে কৃষক ফসল ফলাত। পর্যায় ক্রমে সেই সরকারি খালের জায়গাটি ভরাট করে দখল করেন স্থানীয় প্রভাবশালী সৈয়দ শাহআলম ও ডাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেন পুরোপুরি বন্ধ করে একাধিক সেমি পাকা দোকান সহ নির্মাণ করেছেন বহুতল পাকা ভবন।
এনিয়ে নিউজ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।সরকারি সার্ভেয়ার সরেজমিন গিয়ে নকশা দিয়ে পরিমাপ করে দেখতে পান সরকারি খাল ভরাট এবং দখল করে নির্মাণ করছেন পাকা ভবন। বাজার কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মুখে সৈয়দ শাহআলমকে ওই জায়গায় কাজ করা যাবে না বলে সার্ভেয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন নিষেধ করেন।
কিন্তু দু-মাস যেতে না যেতে পুনরায় শুরু করেন ভবন নির্মাণের কাজ। কখনো রাতে আবার কখনো সরকারি বন্ধের দিনে।সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে,গত বুধবার(২৬ মার্চ) বন্ধের দিনের সুযোগে তড়িঘড়ি ভোর রাত থেকে বহুতল ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেন।
ডাসার কাঁঠালা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল আলম লাহিদ বলেন, এ খালটি দিয়ে পানি নিষ্কাশন হত,কৃষকরা এই খালের পানি দিয়ে ফসল ফলাত। আজ খালটি পুরো দখল হয়ে গেছে।তিনি জানান, সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে যদি সরকারি খাতে অন্তর্ভুক্ত করে দোকান বরাদ্দ দেন, তাহলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারে।
এলাকাবাসী জানান, দেখলাম কিছুদিন আগে মাপ দিয়ে, সীমানা নির্ধারণ করলো সরকারি সার্ভেয়ার ও তহশিলদার। বললো সৈয়দ শাহআলম রে, আপনি খাল ভরাট করছেন, খালের জায়গায় পাকা ভবন পড়ছে। কাজ বন্ধ রাখুন। এহন দেহি আবার বিল্ডিং করছে। কই এহনতো সরকারি লোক দেহিনা। টাকার কাছে সবাই বিক্রি হলো।
দখলদার সৈয়দ শাহআলম বলেন, আমার জায়গায় নির্মাণ করছি। যদি সরকারি জায়গায় কিছু পড়ে, তাহলে ওইটুকু ভেঙে ফেলবো। এসময় সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করে তাকে না পাওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
ডাসার উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার মো.সামচুল আলম বলেন, ইউএনও স্যার বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।আমি গিয়েও তাকে কোন প্রকার কাজ করতে নিষেধ করি এবং তার কাগজ নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে দেখা করার অনুরোধ করি। নিষেধ অমান্য করে অবৈধভাবে আবারও কাজ করছে এটা আমার জানা নেই।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফ উল আরেফিন বলেন, পূর্বের সার্ভেয়ার যদি কোন রিপোর্ট দাখিল করতো, তাহলে সেই রিপোর্টের আলোকে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেয়া যেত।
তারপরও সমস্যা নেই, আমরা আবার সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গাটি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করবো। যদি সরকারি জায়গায় ভবন হয়,তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বিআরইউ