Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫,

মাগুরার সাবেক ডিসিসহ চার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

মিরাজ আহমেদ, মাগুরা

মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম


মাগুরার সাবেক ডিসিসহ চার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

মাগুরার মহম্মদপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করায় সাবেক ও বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলাটি মাগুরার মহম্মদপুর সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের দাবি, ২০০৬ সালে দেং-৩০/০৬ নং দেওয়ানি মোকদ্দমায় বিজ্ঞ মহম্মদপুর সহকারী জজ আদালত চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এই রায়ে বাদীপক্ষের শান্তিপূর্ণ ভোগদখল নিশ্চিত করতে বিবাদীপক্ষকে জমি দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে, রায়ের পরেও এটি কার্যকর করা হয়নি এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে বাদীপক্ষের মালিকানাধীন জমি মহম্মদপুর আওয়ামী মৎস্যজীবী সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়।

মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, সাবেক জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাসুদেব মালো এবং মহম্মদপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এনামুল কবীরের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাদীপক্ষের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদপুর উপজেলার দবির মোল্যার ছেলে মো. আতিয়ার হোসেন মোল্যা, মো. আতিয়ার রহমান মোল্যা, মো. হবিবর রহমান মোল্যা, আব্বাস মোল্যার ছেলে মো. আ. শুকুর মোল্যা, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্যা, মো. ইয়াহিয়া মোল্যা, মো. পবন মোল্যার ছেলে মো. হাফিজার রহমান মোল্যা, সমশের মোল্যার ছেলে মো. জয়নাল আবেদিন, মৃত লাল মাহমুদ মোল্যার ছেলে মো. খোরশেদ মোল্যা, মো. শামছু মোল্যা, মো. সাখাওয়াত মোল্যা এবং মো. আইয়ুব মোল্যা।

বাদীপক্ষ ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি আদালতের রায় পান। পরবর্তীতে বিবাদীপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আপিল (১০/১০ নং মোকদ্দমা) দায়ের করলে তা খারিজ হয়। এরপর, হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন/সিভিল রুল (৩৩২/১৬) দায়ের করা হলে ২০২২ সালের ২৭ জুন সেটিও খারিজ করা হয়।

তবে, বাদীপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, আদালতের আদেশ যথাযথভাবে কার্যকর না করে বিবাদীপক্ষ নালিশী জমি অন্যদের ইজারা প্রদান করে বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। ফলে বাদীপক্ষ তাদের স্বত্বভুক্ত জমির দখল নিতে পারেননি। আদালতের আদেশ লঙ্ঘন ও অবজ্ঞার কারণে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর বাদীপক্ষ আদালতে নতুন মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীপক্ষ আদালতের আদেশ কার্যকর করার দাবি জানান এবং আদেশ অমান্যকারী বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেল-জরিমানার দাবি করেন।

ইএইচ

Link copied!