Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫,

শতভাগ কারখানায় বেতন–ভাতা পরিশোধ, স্বস্তির যাত্রা শ্রমিকদের

দেলোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর

দেলোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর

মার্চ ৩০, ২০২৫, ১১:০৩ এএম


শতভাগ কারখানায় বেতন–ভাতা পরিশোধ, স্বস্তির যাত্রা শ্রমিকদের

গাজীপুরে শেষ মুহূর্তে প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।

এতে শনিবার রাতে অতিরিক্ত যানবাহন ও মানুষের ভিড়ের কারণে চন্দ্রা এলাকায় কিছুটা যানজট সৃষ্টি হলেও, বেতন-ভাতা সময়মতো পাওয়ায় শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যানবাহন চলাচলে ধীর গতি দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে স্বস্তি নিয়েই ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেন।

শিল্প ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কল-কারখানা রয়েছে, এর মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। শনিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৯টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা মোট কারখানার প্রায় ৬৬ শতাংশ।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, "গাজীপুরে মোট ২ হাজার ১৭৬টি কারখানা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এসব কারখানার ৬৬ শতাংশ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৮০ শতাংশ কারখানা এবং বোনাস পরিশোধ করেছে ৯৫ শতাংশ কারখানা। শনিবার পর্যন্ত সব কারখানায় বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে শুধু টিএনজেড কারখানার বেতন বাকি থাকার তথ্য আছে।"

কারখানা ছুটি ও বেতন-বোনাস পরিশোধের পর শ্রমিকরা স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। চান্দ্রা এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক করিম বলেন, "শেষ মুহূর্তে বেতন–ভাতা দিয়ে আমাদের কারখানা ছুটি দিয়েছে মালিক পক্ষ। আল্লাহর রহমতে বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করতে পারব।"
এদিকে, শতভাগ কারখানা ছুটি হওয়ায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকাল থেকেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেন এলেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠছেন যাত্রীরা। মূল গেটে বাঁশের বেড়া দিলেও বাধা উপেক্ষা করে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা স্টেশনে প্রবেশ করছেন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, "সাধারণ সময়েও জয়দেবপুর জংশনে যাত্রীদের চাপ থাকে। অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় চাপ বহুগুণ বেড়েছে।"

নাওজোড় হাইওয়ে থানার (ওসি) রইজ উদ্দিন বলেন, "রাতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল, তবে সকাল থেকে চাপ অনেকটাই কমে গেছে। মহাসড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা একযোগে কাজ করছে। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।"

বেতন-ভাতা পেয়ে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা। ঈদের আগে কারখানা ছুটি ও বেতন পরিশোধ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে।

ইএইচ

Link copied!