বাউফলে যুবদল নেতা বহিষ্কার

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান পলাশের মাদক (ইয়াবা) সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৪ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে বসে মশিউর রহমান পলাশ ইয়াবা সেবন করছেন।

ভিডিও বিশ্লেষণ করে বোঝা যায়, পলাশের সাথে থাকা কোন ব্যক্তি তার অজান্তে ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন।

এদিকে, পলাশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ ছিল, তবে তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিল না। কিন্তু মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর এটি পুরো জেলা জুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং বাউফল উপজেলা যুবদলের এই সিনিয়র নেতাকে নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে।

এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সেল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং এক চিঠির মাধ্যমে তাকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নৈতিক জলাঞ্জলির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কারণে তাকে বাউফল উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, “যুবদলে কোন মাদকসেবী কিংবা সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না।”

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিএনপি ও যুবদলের নাম করে মশিউর রহমান পলাশ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হন, যার ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং পলাশকে নিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বিব্রত অবস্থায় পড়েন।

এদিকে, এর আগে গত ৩-৪-২৫ তারিখে আওয়ামী অপশক্তির পক্ষে প্রকাশ্যে মিছিল করায় বাউফল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জসিম ও যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ মাহমুদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিস্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ