রাজবাড়ী প্রতিনিধি
এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামে কিশোর নিরব শেখ (১৭) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ।
পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. মিজান (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মিজান কালুখালী উপজেলার বাগলপুর গ্রামের টেণ্ডু শেখের ছেলে। নিহত নিরব শেখ হরিণবাড়িয়া গ্রামের মো. জিয়ারুল শেখের ছেলে।
রোববার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ মার্চ পদ্মা নদীর বাগঝাপা-সালেপুর অংশ থেকে নিরবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার কোমরে শিকল এবং প্লাস্টিকের বস্তা বাঁধা ছিল। সে ২০ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল। ওই দিনই তার বাবা কালুখালী থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নিহত নিরবের বাবা জিয়ারুল শেখ তার চাচাতো ভাই লিয়াকত শেখের পক্ষ নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজে যুক্ত ছিলেন। এতে আরেক চাচাতো ভাই কাইয়ুম শেখের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জেরে কাইয়ুম শেখ তার ভাই জিয়ারুল শেখকে ‘শায়েস্তা’ করতে নিরবকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাইয়ুম শেখ ও তার সহযোগী মিজান নিরবকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মিজান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
পুলিশ জানায়, মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মফিজুল ইসলাম ও কালুখালী থানার ওসি জাহেদুর রহমান।
ইএইচ