জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
মাদারীপুরের ডাসারে সরকারি খালের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে, ফেসবুকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে হেয়প্রতিপন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সৈয়দ শাহআলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেন এর নামে দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন।
ক্ষুব্ধ দুই সাংবাদিক হলেন, ডাসার প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ডাসার উপজেলা প্রতিনিধি সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম ও ডাসার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান আজাদ।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) মাদারীপুর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসারের ৩৩ নং ধামুসা মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৭২১ নং দাগে সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এরই জেরে গত ৩০ মার্চ আসামি সৈয়দ শাহআলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেন উপজেলার পাথুরিয়াপাড় নামক স্থানে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। নিজের অপরাধ ঢাকতে সেখানে তিনি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য প্রচার করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করায় সৈয়দ শাহআলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে আলাদা ভাবে মো.আতিকুর রহমান আজাদ ও সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম আদালতে দুটি আলাদাভাবে মানহানি মামলা দায়ের করেছেন এবং দুটি মামলায় দুই কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ডাসার উপজেলায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে সম্মানের সাথে সংবাদ প্রকাশ প্রচার আসছি। আসামিদ্বয় নিজের অপরাধ ঢাকতে অপকৌশল অবলম্বন করে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সঠিক সংবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা করেন এবং সংবাদ প্রকাশ করায় আমাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় আমি ন্যায় বিচার দাবি করে এ মানহানি মামলা দায়ের করেছি।
সাংবাদিক আতিকুর রহমান আজাদ বলেন, সৈয়দ শাহআলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেন দুজনেই আওয়ামীলীগ নেতা। প্রভাব দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করেছে। সেই সংবাদ প্রচার করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের নামে ফেসবুকে অপপ্রচার করেছে। তাই মামলা করেছি। তবে এব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরএস