মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি
এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের অন্তত ৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাবেক ছাত্রদল নেতা জিএস রিপন খলিফা এবং তার মা রয়েছেন।
ভুক্তভোগী জিএস রিপন খলিফা শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করে বলেন, জিউধরা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গ্রুপিং ও দ্বন্দ্বের কারণে সভাপতি পদে বিজয়ী মো. কামাল খানের অনুসারীরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রিপন খানের সমর্থকদের ওপর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হামলা চালায়।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, কামাল খানের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইফুল ইসলাম বনি নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জিএস রিপন খলিফাকে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার মা লুৎফুন নেসা (৫৮), পিতা মোশাররফ হোসেন খলিফা (৬৫), এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানাসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হন। হামলাকারীরা তাদের একটি দোকান ও চারটি বসতঘরেও ভাঙচুর চালায় বলে দাবি করেন তিনি।
তবে, অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইফুল ইসলাম বনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ঘের সংক্রান্ত বিরোধের কারণে রিপনের সঙ্গে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তবে মারধর বা বসতঘরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।"
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কেএম মহিউদ্দিন খান রিপন বলেন, “আমার কর্মী জিএস রিপনসহ কয়েকজনের ওপর প্রতিপক্ষের কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছে এবং বসতবাড়িতেও ভাঙচুর করেছে।”
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজীব আল রশিদ বলেন, “জিউধরা ইউনিয়নে ঘের সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। তবে বসতবাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইএইচ