Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫,

কুষ্টিয়ায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম


কুষ্টিয়ায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৪১টি মহিষ লুটের মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে একজনকে।

রোববার ১২ জন আসামি কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত শুনানি শেষে একজনকে জামিন দিয়ে বাকি ১১ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো ১১ জন হলেন—দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মন্ডলপাড়া এলাকার পদ্মার চরের একটি বাথানে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে ৪১টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায় সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক। এ সময় মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকত (৩৫)–কে মারধর ও অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে আটকে রাখা হয়।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করলেও মহিষগুলো উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ রয়েছে, লুটের পরপরই ট্রাকযোগে মহিষগুলো পাচার করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় মহিষের মালিক সাইদ মন্ডলের স্ত্রী তমা খাতুন ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “৪১টি মহিষ লুট মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করা ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।”

ইএইচ

Link copied!