Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫,

খেয়াঘাটের ইজারা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম


খেয়াঘাটের ইজারা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাটের ইজারা বাতিলসহ ১৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।

রোববার বেলা ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চরমোনাই ইউনিয়নের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মামুন।

তিনি বলেন, “জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাট ব্যবহার করে বরিশাল শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে। কিন্তু সেখানে ইজারাদারের দৌরাত্ম্যে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, প্রতিবাদ করলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার।”

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জেলা পরিষদের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পেশিশক্তির প্রভাব দেখিয়ে খেয়াঘাটে নানা অনিয়ম করে চলেছেন ইজারাদাররা। এ অবস্থায় খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল করে সেটি উন্মুক্ত করার দাবি জানান ইউনিয়নবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত ১৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—

  •   খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত ঘোষণা করতে হবে

  •    ইজারা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জনপ্রতি খেয়া ভাড়া ৩ টাকা নির্ধারণ

  •    মোটরসাইকেল ১০ টাকা, তিন চাকার বাহন ১৫ টাকা, চালকসহ বাইসাইকেল ৭ টাকা

  •    গরু-মহিষ ১৫ টাকা, ছাত্র-ছাত্রী, ইমাম ও প্রতিবন্ধীদের ভাড়া মওকুফ

  •    জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ

  •  প্রতিটি ঘাটে কমপক্ষে ৬টি ট্রলার, বিশুদ্ধ পানি, যাত্রী ছাউনি, নারী-বান্ধব জেটি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা

  •    সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতি ৫ মিনিটে ট্রলার ছাড়ার ব্যবস্থা

  •    অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে আইনগত ব্যবস্থা

  •    মানুষ ও পশু একই ট্রলারে বহন নিষিদ্ধ

  •    নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ

  •    যত্রতত্র চাঁদাবাজি বন্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মোঃ মাসুম বিল্লাহ, আবু হানিফ, খন্দকার রাকিব, সাহবুদ্দিন হাওলাদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, “জেলা পরিষদের আওতাধীন ঘাটটি পূর্ব থেকেই ইজারায় রয়েছে। এবছরও ইজারা প্রক্রিয়া অনুযায়ী চলবে। তবে ইজারাদার কর্তৃক কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ইএইচ

Link copied!