আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১২:০৮ এএম
আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১২:০৮ এএম
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’—এই অঙ্গীকারে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি জাতি।
সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বরিশালে নানা আয়োজনে মুখর ছিল দিনটি।
নতুন বছর মানেই নতুন আশার আলো, রঙিন স্বপ্ন আর ভালো কিছুর প্রত্যাশা।
এই উৎসব থেকে যেন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুরা বাদ না পড়ে—সেই লক্ষ্যেই ব্যতিক্রমধর্মী এক আয়োজন করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের উদ্যোগে গঠিত সংগঠন ইভেন্ট-৮৪। বরিশালের তরঙ্গ ও এসএনডিসি’র পাঠশালার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্কে আয়োজন করা হয় বৈশাখী উৎসব।
এই আয়োজনে শিশুদের মুখে হাসি ফোটে যখন তারা নতুন পোশাক ও খাবার হাতে পায়। বাংলা ভাষা, বাঙালির ঐতিহ্য ও রীতিনীতি সম্পর্কে জানার সুযোগও হয় তাদের। এই আনন্দঘন মুহূর্ত আরও বিশেষ হয়ে ওঠে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে।
জেলা প্রশাসকের হাত থেকে নতুন পোশাক ও নাস্তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিশুরা। সকালবেলার এই আয়োজন তাদের জীবনে নিয়ে আসে ভিন্নরকম আনন্দের মাত্রা।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, "পহেলা বৈশাখের উৎসব থেকে যেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যেই ইভেন্ট-৮৪ এর এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।"
তিনি আরও বলেন, "আশা করি, ভবিষ্যতেও এমন উৎসবমুখর দিনগুলোতে তারা এই ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজন অব্যাহত রাখবে। আমি সবসময় এই মহতী উদ্যোগের পাশে থাকব। আগামী দিনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়েই।"
ইএইচ