জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
জাহিদ হাসান, মাদারীপুর
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
মাদারীপুরের নূর পখীরার পীর আল্লামা শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ (রহ)-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে কুকরাইল এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর আহমদিয়া কামিল এমএ মাদরাসার অডিটোরিয়ামে পখীরার বর্তমান পীর শাহসুফি মাওলানা মুফতি ইমরান বীন নুরের সভাপতিত্বে উক্ত জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ জামী।
নূর মোহাম্মদিয়া গবেষণা পরিষদের আয়োজনে মাওলানা শওকত আলী নুরের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন, মরহুম পীর সাহেব রহঃ এর প্রবীণ ও নবীন ভক্ত-মুরীদান, দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা, গবেষক, চিন্তাবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুযোগ্য উত্তরসুরীগণ।
দীর্ঘ চার ঘন্টা ব্যাপি চলমান উক্ত আলোচনা সভায় মরহুমের মহৎ ও দীর্ঘ জীবনের বিচিত্র দিক নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
বক্তরা বলেন, আল্লামা নুর মোহাম্মদ (রহ) ছিলেন যুগশ্রেষ্ট আলেম, আবেদ, যাহেদ সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, সংগ্রামী, সাহসী ও সমাজ সংস্কারক। তিনি মাদারীপুরের অজপাড়া পখিরায় পঞ্চাশ দশকেই কায়েম করে ছিলেন উচ্চ শিক্ষার আলিয়া মাদ্রাসা। যা এক সময় চরমোনাই আলিয়া ও বাহাদুরপুর আলিয়া মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল। আড়িয়াল খা নদীতে বিলীন হওয়ার পরে কুকরাইল এলাকায় স্থানান্তর হয়। বর্তমানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও হেফজ খানাসহ এটি এখন একটি বহুমুখী কমপ্লেক্সে রুপ নিয়েছে। ১৯১০ থেকে ১৯৯৬ দীর্ঘ এই ৮৬ বছরে তিনি পখিরা দরবারের বাইরেও অগনিত মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা প্রতিষ্ঠা করেন।
দাওয়াত, তালিম, তাবলীগ ও তারবিয়্যাত এর মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার আল্লাহ ভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসেন। শরিয়তী শিক্ষার বাইরে তিনি আধ্যাতিকতার উচ্চতর চর্চা ও তালিম পরিচালনা করতেন। তার রয়েছে হাজার হাজার কারমত এবং তার পক্ষে অগণিত লোকের স্বাক্ষ প্রমাণ। জীবিত বহুমুরিত এখনও কাশফ ও কারামাতের অধিকার বহন করছেন। দুস্ত ও অভাবিকে তিনি হাত খুলে দান করতেন। পক্ষান্তরে ভক্ত ও মুরিদদের কাছে তিনি হাত পাততেন না।
আড়িয়াল খাঁ`র কবল থেকে মাদারীপুর শহরকে বাঁচাতে সর্বপ্রথম তিনিই মন্ত্রী/প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেন। ১৯৯৬ থেকে এ পর্যন্ত তার জীবনির উপর ছোট বড় তিনটি গ্রন্থ এবং একটি স্মৃতি স্মারক প্রকাশিত হয়। ২০২৫ এ একটি সম্মৃদ্ধ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক সুচনা করা হয় এবং পাঁচটি প্রকাশনার উপর ভিক্তি করে অচিরেই একটি মজবুত ও সুশৃঙ্খল জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের দায়িত্ব অর্পিত হয়।
আরএস