ফয়সাল হাওলাদার, মেহেন্দিগঞ্জ
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
ফয়সাল হাওলাদার, মেহেন্দিগঞ্জ
এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচাতো দাদার বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের পর ওই তরুণী সাড়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের জাদুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দাদার নাম নাছির শেখ (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত কাশেম শেখ এর ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দাদা আর নাতনি একই বাড়িতে বসবাস করেন। সে সুবাদে বিভিন্ন কাজের বাহানায় নাতনিকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই যুবতী সাড়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি অপকর্ম তিনি করেছেন। নাতনিকে ধর্ষণের পরে এ কথা কাউকে না বলতে হুমকিও দেন।
এতে ওই তরুণী সাড়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি অভিযুক্ত নাছির শেখকে জানালে প্রতিবেশী কয়েকজনকে দিয়ে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার পরামর্শ দেন। এমনকি মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আত্মগোপন চলে যান তিনি।
এই ঘটনায় রোববার বিকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাছির শেখের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং প্রকাশ করলে আমার ভাই ও বাবাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছি। সে আমার জীবন নষ্ট করেছে, আমি চাই ওর কঠিন শাস্তি হউক যাতে আর কোন নারীর জীবন নষ্ট করতে না পারে। আমি গর্ভের সন্তান নিয়ে এখন কি করবো।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা সালাউদ্দিন ফরাজি বলেন, আমি অভিযুক্তের কঠিন বিচার দাবি করছি, আমার সর্বনাশ করে দিয়েছে। আমার মেয়ে এখন খুবই অসুস্থ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাছির শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
নাছির শেখের স্ত্রী মেহেরুন বেগম বলেন, এত বছরেও দেখিনি আমার স্বামী কারো দিকে কু-নজরে চাইতে, আমার বদনাম করার জন্য আর আমাকে ফাঁসানো জন্য এই অপবাদ দিচ্ছে। আমার স্বামী এই কাজ করতে পারে না। স্বামী এই কাজ করলে এতদিন কেন প্রকাশ করলো না। আমার স্বামী এই ঘটনা শুনে বাড়ি থেকে কোথায় চলে গেছে খোঁজ খবর পাইতেছি না। স্বামী জীবিত আছে কি না তাও জানি না। আমার ডিপটিউবওয়েল এবং পুকুরের ঘাটলা ব্যবহার করে আমার ঘরে খেয়ে পড়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ