মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ১০০ কোটি টাকা পৌরকর প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মুনিরুজ্জামান চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে এই কর বাবদ চেক হস্তান্তর করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক জানান, মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা পৌর কর হিসেবে দেওয়া হয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ কমিটি পরবর্তী সময়ে কর বণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
চসিক সূত্র জানায়, নির্ধারিত পৌরকর ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা হলেও ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর মাত্র ৪৫ কোটি টাকা কর পরিশোধ করত। এতে প্রতিবছর চসিকের আনুমানিক ১১৫ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতো।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বন্দরের পক্ষ থেকে সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক এবং চসিকের পক্ষ থেকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চসিক আরও জানায়, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কখনোই পঞ্চবার্ষিক করপুনর্মূল্যায়নের আলোকে নির্ধারিত সম্পূর্ণ কর পরিশোধ করেনি। সাবেক মেয়রদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করেন।
এর প্রেক্ষিতে, গত ৬ এপ্রিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নজরুল ইসলাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, “চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী যৌথ জরিপ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আপাতত ১০০ কোটি টাকা কর বাবদ প্রদান করা যেতে পারে।”
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “নগরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে চসিক প্রতিবছর প্রায় ৭০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। বন্দর থেকে এই ১০০ কোটি টাকা কর আদায়ের ফলে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নাগরিক সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।”
এসময় মেয়র ও বন্দর চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের যোগাযোগব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। মেয়রের নির্দেশে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বন্দরকেন্দ্রিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন আশ্বাস দেন, চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে চসিক সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে।
ইএইচ