বরিশাল ব্যুরো
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করার দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম নিজেই।
মামলায় প্রধান বিবাদী করা হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে। এছাড়া আরও ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, স্বৈরাচার সরকার নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীম জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে তাকে প্রতিহত করা হয়, হামলার শিকার করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও সে সময় নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সহযোগিতা মেলেনি।"
তিনি আরও বলেন, "প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেন—‘তিনি তো ইন্তেকাল করেন নাই।’ এ মন্তব্য নিয়ে সে সময় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা হয় এবং তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। পরে তিনি হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।"
আইনজীবী বলেন, "বর্তমানে প্রশাসনের মাধ্যমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। নগরবাসী কোনো নাগরিক সেবা পাচ্ছে না। আমরা চাই আদালত ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।"
মামলায় বিবাদী অপর প্রার্থীরা হলেন—গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু, হরিণ প্রতীকের আলী গোসেন হাওলাদার, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান, লাঙল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কামরুল আহসান রূপন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ওই নির্বাচনে বিজয়ী হন। তিনি পেয়েছিলেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম পেয়েছিলেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। নির্বাচনের সময় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর ওপর হামলা এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সাধারণ নগরবাসীর মধ্যে।
ইএইচ