জসীম উদ্দিন জয়নাল, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
জসীম উদ্দিন জয়নাল, পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে শিক্ষার্থীদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি জনসমক্ষে আসে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যাপক জনরোষের মুখে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে তারা নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
গত ১৬ এপ্রিল সকালে বিজু উৎসব শেষে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও এক অটোরিকশাচালককে অপহরণ করা হয়। পরে চালককে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহৃতরা হলেন— রিশন চাকমা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ), মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা (চারুকলা বিভাগ), দিব্যি চাকমা (নাট্যকলা বিভাগ), লংঙি ম্রো (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ)।
তাঁরা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং পিসিপির সক্রিয় সদস্য।
অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকেই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-কে দায়ী করে আসছে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা জানান, অপহরণকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।
অন্যদিকে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ—বিশেষ করে জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা—এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
পিসিপির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেক চাকমা এক বিবৃতিতে বলেন, “অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল সংগঠন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়েন। সেই জনচাপেই অপহরণকারীরা কয়েক ধাপে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।”
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিক্ষার্থীরা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পিসিপির বিবৃতিও সেই সত্যতা নিশ্চিত করেছে।’
পিসিপি তাদের বিবৃতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিআরইউ