Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫,

বিশ্বে অর্থনীতির সীমানায় মাথা উঁচু করাবে বন্দর

বন্দরের ইতিহাসের ভাগ্যবান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম

এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম


বন্দরের ইতিহাসের ভাগ্যবান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান

চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে যতো চেয়ারম্যান  দায়িত্ব পালন করেছেন তার মধ্যে একমাত্র ভাগ্যবান চেয়ারম্যান বিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।

এক সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে সফলতার উচ্চ আসনে পৌঁছেছেন তিনি। তার হাত ধরে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ ও জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। যা দেশের অর্থনীতির চাকার চালিকাশক্তি মজবুত করার স্বপ্ন ছিলো।

বৃহস্পতিবার শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়াম (বন্দর অডিটোরিয়ামে) ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময় করেন।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। মার্চ ২০২৫ এ রপ্তানি আয়ে মার্চ ২০২৪ এর চেয়ে ১১.৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৩৭১৯১.৩২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যা ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৩ শতাংশ বেশি (সূত্র- ইপিবি এর ওয়েবসাইট)।

এ রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ (৮৫ শতাংশ) রপ্তানি পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং হয়েছে। বন্দরে জাহাজের গড় সময় উল্লেখ যোগ্য হারে কমে এসেছে। বর্তমানে কন্টেইনার জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়ছে, ক্ষেত্র বিশেষে অন-এ্যারাইভ্যাল জেটিতে ভিড়ছে। কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় তা মূলত বাংলাদেশেরই অভ্যন্তরীন চাহিদা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিফলন। চট্টগ্রাম বন্দরের এই ধারাবাহিক কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর পরিসংখ্যানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চিত্র পরিস্ফুটিত হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২০২৩-২০২৪ এর একই সময়ের তুলনায় ৫.০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ২০২৪-২০১৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ৭১ লক্ষ ১৩ হাজার ১শত ৬১ মেট্রিকটন যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৯৬ শতাংশ বেশি। বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে জাহাজহ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০৫৮টি। এতে বুঝা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শত প্রতিকূলতার মাঝেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।বেড়েছে রাজস্ব আদায়। ইয়ার্ড নির্মাণ করে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে আধুনিক পোর্ট ইকোসিস্টেম, পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম প্রবর্তন, ডিজিটালাইজেশন এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে একটি বিশ্বমানের বন্দরে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কন্টেইনার ইয়ার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন নতুন কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগত রাসায়নিক পদার্থ সমূহকে নিরাপদে সংরক্ষণ ও ছাড়করণের লক্ষ্যে দ্বিতল বিশিষ্ট ৪২৭৫ বর্গমিটার আয়তনের একটি কেমিক্যাল শেড নির্মাণ করা হয়েছে।

তাছাড়া কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে নদীর উভয় পাড়ে ২৮৫০ মিটার Revetment/Bank Protection কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কোন ইক্যুইপমেন্ট স্বল্পতা নাই। তথাপিও চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য ১২টি ২০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন মোবাইল ক্রেন সংগ্রহ করা হয়েছে। ইক্যুইপমেন্টসমূহ সংগ্রহের ফলে বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট হতে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ এবং ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্পে নয় মাসে ৯.৬০ লক্ষ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী জুন ২০২৫ এ সমাপ্ত হবে। এতে লাইটার জাহাজসমূহ নিরাপদে চলাচলসহ সুশৃঙ্খলভাবে বার্থিং করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে। কর্ণফুলী নদী ও বন্দর সীমানায় নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাধি মেট্রিক সার্ভে কাজ সম্পাদনের জন্য ১টি আধুনিক প্রযুক্তির মাল্টিবীম ইকোসাউন্ডার সংগ্রহ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীও বন্দর সীমানায় হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে কাজে নির্ভুল পজিশনিংয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিপিএসবেইজ স্টেশন সংগ্রহ করা হয়েছে।

এছাড়াও চবক পোর্ট লিমিট এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভেকাজের জন্য ১টি আধুনিক প্রযুক্তির জরিপ জাহাজ ক্রয় করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি নেভিগেশনাল চ্যানেলে প্রয়োজনীয় নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজ সম্পাদনের জন্য একটি আধুনিক প্রযুক্তির হপার ড্রেজার সংগ্রহের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি কাজ চলমান রয়েছে। আধুনিক বিশ্বে দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি অংশীদারিত্বের বিষয়টি একটি দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জ।পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল অপারেশন ও ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবভিত্তিক বেসরকারি গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর আরএসজিটিআই-কে সম্পৃক্ত করেছে। বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় টার্মিনাল অপারেটর এপিএম এর সাথে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লালদিয়া কন্টেইনারটার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এনসিটি টার্মিনালটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেশনাল টার্মিনাল হওয়ায় তা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য লাভজনক হবে কিনা এবং এর ফলে বাংলাদেশের বন্দর পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এলক্ষ্যে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বে-টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-১ এবং কনটেইনার টার্মিনাল-২ নির্মাণের জন্য পিপিপি অংশীদার পিএসএ সিংগাপুর এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল বে-টার্মিনালের ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। বে-টার্মিনালের চ্যানেলে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বে-টার্মিনাল প্রকল্প আগামী ২০২৯-২০৩০ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।

দেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার খ্যাত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির প্যাকেজ-১ ( ২টি জেটি নির্মাণ)এর জন্য জাপানিজ প্রতিষ্ঠান পেন্টাওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও টোয়া কর্পোরেশন এর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর গত ২২ এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৯ সাল নাগাদ অপারেশনে আসবে বলে আশা করা যায়। ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে জাইকা‍‍`র সহযোগিতায় বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটির ২য় সংশোধিত ডিপিপি গত বছরের ৭ অক্টোবরে  একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় সিভিল, ড্রেজিং, কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি এবং জাহাজসমূহ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় চুক্তি ইতোমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে এবং সিভিল ও ড্রেজিং কার্যক্রমের চুক্তি অতিশীঘ্রই সম্পাদিত হবে এবং নির্মাণ কার্যক্রম অতিদ্রুত শুরু করা হবে। দেশে জ্বালানি সমস্যা দ্রুততম সময়ে সমাধানের লক্ষ্যে Land BasedLNG Terminal স্থাপনের নিমিত্ত মাতারবাড়ি বন্দরের ১ম ধাপের ২য় পর্যায়কে ১ম পর্যায়ের সাথে সংযুক্ত করে ফাস্ট ট্র্যাকিং করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ লক্ষ্যে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে ৬১২ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার বরাবরে দাখিলকরা হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি UAE, জাপান এবং সিঙ্গাপুরের দূতাবাসসমূহের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দলের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং সফরে প্রতিনিধিদল মাতারবাড়ি-মহেশখালী এলাকায় বিভিন্ন MaritimeInfrastructure সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের তথ্যাদি সংগ্রহ করেন এবং মেরিটাইম সিকিউরিটি,পরিবেশ সংরক্ষণ, শিপ ইয়ার্ড নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ঘিরে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার কথা আলোচিত হয়। মধ্য প্রাচ্যের বৃহৎ কোম্পানি ‍‍`ডিপি ওয়ার্ল্ড,সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলি বন্দরকে ঘিরে একটি ‍‍`ফ্রি ট্রেড জোন‍‍` পরিচালনা করে। কোম্পানিটির কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশেও সেরকম অঞ্চল তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে মর্মে জানাজায়।

চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আয় হয় জাহাজ সেবা এবং মালামাল হ্যান্ডলিং খাত হতে। ২০২৪ অর্থ বছরের ২৫-প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৩৭৪৫.২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে যা গত অর্থবছরের একই সময়কালের রাজস্ব আয়ের তুলনায় ১০.৫৬ % বেশি এবং একই সাথে রাজস্ব উদ্বৃত্ত ৮.৭৭%বেশি। সেবার মান অক্ষুণ্ন রেখে রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব ব্যয় হ্রাস করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

এছাড়াও চরক এর বিনিয়োগের ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে চরক হতে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তাছাড়া বন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট সেবা আরো সহজিকরণকরার লক্ষ্যে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ২০ এপ্রিল ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে বন্দর ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে বন্দরের যাবতীয় মাশুলাদি অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন।শ্রম শাখা গঠনের মাধ্যমে

বন্দরে শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করায় চট্টগ্রাম বন্দরে কোন শ্ৰম অসন্তোষ নেই

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হতে ৩৬৫ টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি পদে ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সহসাই মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায়, মাননীয় নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্বিকসহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের সমুদ্র পথে বহিঃবাণিজ্য সুষ্ঠু ও নিরাপদে এবং কম খরচে সম্পন্ন করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে ব্যবসাবান্ধব বন্দর গড়ে তোলার মাধ্যমে মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে বদ্ধ পরিকর।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা), কমডোর কাওছার রশিদ (ই) পিএসসি বিএন, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহ (জি) বিএসপি পিএসসি বিএন সদস্য (হারবার ও মেরিন) এবং সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন বন্দর মুখপাত্র ও বন্দর সচিব ওমর ফারুক।

ইএইচ

Link copied!