ইউএনওর ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে নলছিটির চিত্র

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে মো. নজরুল ইসলামের যোগদানের পর তার দক্ষতায় ক্রমান্বয়ে পাল্টে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সরকারের মাঠ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা নলছিটি উপজেলাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন।

অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। জনসেবার মানও বেড়েছে এবং প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী হয়েছে। দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল ছিন্ন করে নলছিটিকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। ৩৫তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করছেন।

নলছিটি উপজেলার সকল অফিসের সেবার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সোচ্চার থাকেন এবং বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সুন্দর সমন্বয় সাধন করেন। প্রত্যেক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি একজন সৎ ও আদর্শ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার বিভিন্ন শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রমের জন্য সকল পর্যায়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাকে খুবই পছন্দ করেন। তার উদ্যোগে শিক্ষায় ব্যাপক গতিশীলতা এসেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সম্পূর্ণ নকলমুক্তভাবে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ তার কর্তৃক গৃহীত একটি প্রশংসিত পদক্ষেপ। পরীক্ষার পরিবেশ এখন একেবারে উন্নত।

উপজেলার সামগ্রিক সেবার পাশাপাশি পৌরসভার সেবায়ও উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা কাজী আলমগীর হোসেন, এমদাদ হোসেন, সরোয়ার হোসেন তালুকদার, আক্তারুজ্জামান প্রমুখ বলেন, "ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এতে পৌর নাগরিকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি যেমন কমেছে, তেমনি শহরে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।" এছাড়া, নলছিটি উপজেলা পরিষদের সামনে পুকুরটির সৌন্দর্যবর্ধন করে চিত্তবিনোদনের আকর্ষণীয় স্পট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

তারা আরও জানান, "একজন সরকারি কর্মকর্তাকে বন্ধের দিনও অফিসে এসে পাওয়া যায়, এটি সত্যিই একটি বড় সেবা। ইউএনও মো. নজরুল ইসলামের মতো অফিসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।"

এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলার ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "ইউএনও‍‍`র পাশাপাশি পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। পৌর নাগরিকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সুধীজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা সহজ হয়েছে। দীর্ঘদিনের অনিয়ম শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা ও সাধারণ মানুষের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, ইউএনও হিসেবে এগুলো আমার দায়িত্ব।"

ইএইচ