Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫,

ঝিনাইদহে রাস্তা খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার উধাও, জনদুর্ভোগ চরমে

কে এম সালেহ, ঝিনাইদহ

কে এম সালেহ, ঝিনাইদহ

এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৭:১১ পিএম


ঝিনাইদহে রাস্তা খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার উধাও, জনদুর্ভোগ চরমে

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজার থেকে কাতলামারী বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ বর্তমানে এলাকাবাসীর জন্য স্থায়ী দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। ‍‍`দুর্ভোগ কমাতে উন্নয়নের আশ্বাসে‍‍` শুরু হওয়া এই প্রকল্প এখন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে রাস্তার এক পাশ খুঁড়ে ফেলে রেখে, কার্যত উধাও হয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকে এই সড়ক দিয়ে শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অফিসমুখী কর্মজীবী, কৃষিপণ্যবাহী ভ্যান ও ট্রাক—সব ধরনের যানবাহনের চলাচলে চরম ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। রাস্তার মাঝখানে ছড়িয়ে থাকা গর্ত আর খোঁড়াখোঁড়ির কারণে বড় যানবাহন মাঝপথে থেমে যেতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষিকা হাসিনা পারভীন বলেন, “প্রতিদিন সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে থাকি। রাস্তা এতটাই বিপজ্জনক হয়ে গেছে যে, একটু অসাবধান হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। গত সপ্তাহে এক বৃদ্ধ ভ্যান থেকে পড়ে গিয়েছিলেন রাস্তার খানাখন্দে।”

ভ্যানচালক মন্টু শেখ জানান, “রাস্তার অবস্থা এমন যে, গর্ত এড়াতে গিয়ে প্রায়ই যাত্রীরা পড়ে যান। কখনো কখনো চাকা আটকে যায় ভাঙা জায়গায়। তখন আমরা দুজনেই বিপদে পড়ি।”

স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, “সকাল-বিকাল আমরা এই সড়কে চলাচল করি। রাস্তার যে অবস্থা, তাতে মনে হয় যুদ্ধক্ষেত্র পার হচ্ছি। ঠিকাদার শুরুতে কিছু কাজ করলেও পরে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।”

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের এক পাশ খুঁড়ে রেখেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর থেকে ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, এর কোনো খোঁজখবর রাখা হয়নি।

বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “সরকার উন্নয়নের কথা বলে বাজেট দেয়, অথচ এখানে শুধু দুর্ভোগই আমাদের কপালে জুটছে। রাস্তা খুঁড়ে রেখে যে উধাও হয়েছে, তার কোনো জবাবদিহিতা নেই।”

এই বিষয়ে একাধিকবার ফোন করেও ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, কাজ শিগগিরই আবার শুরু হবে।

সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর আগেও আমরা তাকে চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবেন। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।”

ইএইচ

Link copied!